কালের খবরঃ

গোপালগঞ্জ-২ আসনে দলীয় মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে শোডাউন করেছেন বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত তিন প্রার্থী।আজ বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে গোপালগঞ্জের গেটপাড়া সড়ক ভবনের সামনে থেকে মোটরসাইকেল ও যানবাহনের দীর্ঘ মিছিল নিয়ে এ শোডাউন অনুষ্ঠিত হয়।

মনোনয়ন বঞ্চিত পাঁচ প্রার্থীর ব্যানারে শোডাউনে অংশ নেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এইচ খান মঞ্জু, এম সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান তাজ। অপর দুইজন হলো গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এফ-ই-শরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি সরদার নূরুজ্জামান । এই পাঁচ প্রার্থীর প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থক মোটরসাইকেল ও ২৫/ ৩০টি মাইক্রোবাস এবং বেশ কয়েকটি ট্রাকে করে শোডাউনে অংশ নেয়।

এর আগে গত ৩ নভেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেন। তখন গোপালগঞ্জ-২ আসন থেকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা. কে এম বাবর আলীকে প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণা করেন। এর ২৪ দিন পর মনোনয়ন বঞ্চিত পাঁচজনের ব্যানারে শোডাউন করে তিন প্রার্থী দলীয় সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানান।

শোডাউনে অংশ নিয়ে  জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও তিনবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির হয়ে অংশ নেয়া এম সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, আমাদের রক্ত ও ত্যাগের ভিত্তিতেই গোপালগঞ্জে বিএনপি টিকে আছে। অথচ যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তার নামে একটি মামলাও নেই, কিন্তু আমরা বছরের পর বছর ঘরছাড়া হয়ে দিন কাটিয়েছি। মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করে পাঁচজনের মধ্যে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে আমরা তার পক্ষেই কাজ করবো।

অপর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এইচ খান মঞ্জু বলেন, “আমরা পাঁচজন প্রার্থী একত্রিত হয়ে তারেক রহমানের কাছে আবেদন করছি গোপালগঞ্জ-২ আসনের মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করা হোক। ডা. বাবর জনবিচ্ছিন্ন ও অজনপ্রিয় প্রার্থী। তার পক্ষে ধানের শীষের বিজয় আনা সম্ভব নয়। আমাদের পাঁচজনের মধ্যে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে আমরা তার পক্ষেই কাজ করবো।

আরেক প্রার্থী তৌহিদুর রহমান তাজ বলেন, গোপালগঞ্জ-২ আসনে আমরা ছয়জন মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম। ঘোষিত প্রার্থী তালিকা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বিভিন্ন জেলায় পরিবর্তন ও সংশোধনের সুযোগ সৃস্টি হয়েছে। গোপালগঞ্জে যার নাম ঘোষিত হয়েছে তাকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। ওই প্রার্থী বাদে অন্য যেকোনো প্রার্থীকে মনোনয়ন দিলে গোপালগঞ্জে জাতীয়তাবাদীর ভিত্তি আরও শক্তিশালী হবে।