হৃদয় সরকার, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
পেশায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও ব্যক্তিগত কাজের ক্ষেত্রে নিজের পদবি অধ্যাপক ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে।গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার “একুশে ফেব্রুয়ারি লাইব্রেরী”-এর ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক মোঃ নাছিরুল ইসলাম তার ব্যক্তিগত বিভিন্ন কাজে নিজের পদবি হিসেবে “অধ্যাপক” ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে মোঃ নাছিরুল ইসলাম তার দুই (২) ভগিনীর বিবাহ সমন্ধের জীবন বৃত্তান্তে নিজের পদবি হিসেবে গ্রন্থাগারিকের স্থানে “অধ্যাপক” ব্যবহার করেছেন। এবং কম্পিউটার অপারেটর এ বিষয়টির প্রতিবাদ করলে তাকে তার দায়িত্ব পালন ঠিকমতো করার হুকুম দেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে (ভারপ্রাপ্ত) গ্রন্থাগারিক মোঃ নাছিরুল ইসলাম ঘটনাটি অস্বীকার করে বলেন, আমি একজন ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক। আমি কেন নিজের পদবিতে অধ্যাপক ব্যবহার করবো। এটি কারোর পরিকল্পনা হতে পারে। তিনি বলেন আমার মেইল ব্যবহার করে কেউ হয়তো আমার বিরুদ্ধে পূর্ব শত্রুতার জেরে এসব কাজ করেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে তাকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেন, যে মেইল থেকে আমার নামের শেষে পদবি হিসেবে অধ্যাপক ব্যবহার করা হয়েছে সে মেইলটি আমি সহ গ্রন্থাগারের আরও তিনজন ব্যবহার করে থাকেন এবং তাদেরকে দিয়ে আমি আমার সব কাজ করিয়ে থাকি। তিনি আরো বলেন, জীবন বৃত্তান্তটি আমি কাকে দিয়ে লিখিয়েছি এটা আমার মনে পরছেনা। তবে যাকে দিয়েই করিয়েছি তিনিই হয়তো উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে আমার নামের শেষে অধ্যাপক ব্যবহার করেছেন।
বিষয়টির জানতে গ্রন্থাগারিক কাম-কম্পিউটার অপারেটর মোঃ আবু সাঈদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মোঃ নাছিরুল ইসলাম চলতি বছরের ১৯জুলাই তাকে দিয়ে জীবন বৃত্তান্তটি লিখিয়েছেন। এসময় আবু সাঈদ বলেন, স্যারের (নাছিরুল) পদবি হিসেবে অধ্যাপক লেখার জন্য তিনি আমাকে বাধ্য করেন। আমি প্রতিবাদ করলে তিনি বলেন, তোমাকে যেটা দায়িত্ব দিয়েছি তুমি সেটা পালন করো। নামের শেষে অধ্যাপক লিখলে কোনো সমস্যা হবেনা। তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত তিনি তার ব্যক্তিগত বিভিন্ন কাজে নিজের পদবি হিসেবে “অধ্যাপক” ব্যবহার করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মুরাদ হোসেন বলেন, একজন গ্রন্থাগারিক হয়ে অধ্যাপক পদবিটি ব্যবহার করা কখনোই উচিত নয়। কারন অধ্যাপকের যোগ্যতা সবার হয়না। তিনি বলেন, এবিষয়ে আমি উপাচার্য মহোদয়ের সাথে আলোচনা করব এবং ঘটনাটির জন্য নাছিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply