কালের খবরঃ
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জের তিনটি স্থানে ৪ঘন্টার ব্যবধানে একের পর এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে একটি ঘটনায় একই পরিবারের ৩ সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৩ জন, তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
পুলিশ ও স্থানীয়রদের সূত্রে জানাগেছে, আজ শনিবার( ২৭ সেপ্টেম্বর) গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার মাঝিগাতি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বেলা ১২টার দিকে একটি ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। খুলনা থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল ইমাদ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস। বিপরীত দিক থেকে মাদারীপুর থেকে আসছিল একটি যাত্রী বোঝাই ইজিবাইক। ঘটনাস্থলে দুই যানবাহনের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই ২ জন নিহত হন।
নিহতরা হলেন মাদারীপুরের কালকিনি থানার উত্তর রঞ্জনপুর গ্রামের মোতালেব পাইক (৮০), তার স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম (৬৫), মেয়ে রুমা বেগম (৩৫) এবং ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার হেলেঞ্চা গ্রামের বাসিন্দা ওবায়দুল শেখ (৫০)।
প্রাথমিকভাবে ৩ জন গুরুতর আহতকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যেআনা হলে সেখানে আরও ২ জন মারা যান। আহত ১৮ বছর বয়সী নাতি নুসরাত খাতুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, তিনি এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
জানাগেছে,মোতালেব পাইক ও তার পরিবারের সদস্যরা কাশিয়ানী উপজেলার মাঝিগাতি গ্রামে তার নাতির বিয়েতে অংশ নিতে যাচ্ছিলেন। তাদের এই আনন্দঘন মুহূর্তটি একেবারে বিপর্যয়ে পরিণত হয়।
এ ঘটনার পর, একইদিন দুপুরে দেড়টার দিকে একই সড়কে মুকসুদপুর উপজেলার গেড়াখোলা ব্রিজের কাছে আরেকটি দুর্ঘটনা ঘটে। এখানে প্রাইভেট কার এবং অটোভ্যানের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ভ্যানচালক খোকন শেখ (৬২) মারাত্মকভাবে আহত হন । তাকে দ্রুত মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর কিছু সময় পর, বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের সদর উপজেলার ডুমদিয়া এলাকায় আরেকটি দুর্ঘটনা ঘটে। রাস্তার পারাপারের সময় যাত্রীবাহী ওয়েলকাম পরিবহনের একটি বাস টিটো গাজী (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে ধাক্কা দেয়। তিনি বাড়ি থেকে ডুমদিয়া বাজারে যাচ্ছিলেন। বাসের ধাক্কায় মারাত্মক আহত টিটো গাজীকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গোপালগঞ্জের মহাসড়কগুলোতে একদিনে তিনটি বড় দুর্ঘটনার ঘটনার পর, মহাসড়ক নিরাপত্তা নিয়ে জনমনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট মোঃ রাসেল মিয়া জানিয়েছেন, বিচ্ছিন্নভাবে দুর্ঘটনা গুলো ঘটেছে । তিনটি দুর্ঘটনায় ৬জন নিহত ও ৩জন আহত হয়েছে। যেসময়ে দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে এ সময় সড়কটি বেশ ব্যস্ত থাকে। দুর্ঘটনা পরবর্তি আইনী প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানাগেছে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION