বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাট জেলার চারটি সংসদীয় আসন পুনবর্হালের দাবিতে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। হরতালে জেলার অভ্যন্তরীণ ১৬টি সড়কসহ দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এই কারনে শতশত শ্রমিক মানবেতর জীবনযাপন করছে। হরতালের ফলে, বাস শ্রমিকদের আয় রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন কঠিন করে তুলেছে।
শ্রমিকরা সরকারকে তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন, এবং বাগেরহাটবাসীর এই দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেন। আন্দোলনকারীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে চলা এই হরতালের কারণে তাদের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
আজ সোমবার সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ডাকা হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। তবে ছোট যানবাহন এবং দোকানপাট হরতালের আওতামুক্ত থাকায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা কমেছে। সড়কে গণপরিবহন সেবা বন্ধ থাকায় শ্রমিকদের জীবিকা চলানো কঠিন হয়ে গেছে। হরতালকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় কমিটি নতুন করে হরতালসহ চারদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তবে, মঙ্গলবার ও বুধবারের হরতাল শিথিল করে আধাবেলা করা হয়েছে।
বাস শ্রমিক শেখ আবু বক্করসহ একাধিক শ্রমিক জানান, বাগেরহাটের চারটি আসন ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে আন্দোলনের কারণে পাঁচদিন ধরে সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। প্রতিনিয়ত আন্দোলন চলতে থাকলে আমাদের সংসার কিভাবে চলবে? তারা সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, তাদের মুক্তি দিতে, যাতে তারা আবার নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন।
বাগেরহাট আন্তজেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বলেন, আমরা সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে জেলার ১৬টি রুটে যান চলাচল বন্ধ রেখেছি। এই আন্দোলন শুধু মালিকদেরই নয়, শ্রমিকদেরও জীবিকা বন্ধ হয়ে গেছে। আমাদের দাবি, সরকার এই পরিস্থিতি থেকে আমাদের মুক্তি দিক।
বাগেরহাটের জামায়াত নেতা মঞ্জুরুল হক রাহাদ বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করছি, কিন্তু সরকার এখনও আমাদের দাবি মেনে নেয়নি। বাগেরহাটের চারটি আসন ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, হরতালের কারণে সড়ক মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে, তবে ছোট যানবাহন এবং হাটবাজারের যানবাহন চলাচল করছে। পিকেটারদের বিশৃঙ্খলা রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।
এদিকে, আন্দোলনকারীরা আসন পুনবর্হালের দাবিতে আরও কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন, যা জেলার পরিবহণ খাতের সাথে জড়িত হাজার হাজার শ্রমিকের জীবনে আরও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION