ভাঙ্গা প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের আহূত সকাল-সন্ধ্যা অবরোধে উত্তেজনার পারদ চড়েছে। একযোগে উপজেলা পরিষদ ও থানা ঘেরাও করে হামলা চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা, এবং সংঘর্ষের এক পর্যায়ে তারা পালিয়ে যায়। গতকাল রবিবার থেকে ফরিদপুর-৪ আসনের পুনর্বিন্যাসের গেজেট বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু হলেও, সোমবার দুপুরে পরিস্থিতি পুরোপুরি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
আজ সোমবার দুপুর ১টার দিকে প্রথমে উপজেলা পরিষদে হামলা হয়। যেখানে একাধিক কক্ষ তছনছ ও ভাংচুর করা হয়। একই সময় হামলা চালানো হয় থানায়, এবং সেখানে পুলিশ আটকা পড়ে। হামলাকারীরা থানা ভবনের একটি অ্যাম্বুলেন্সে অগ্নিসংযোগ করে দ্রুত পালিয়ে যায়। আধঘণ্টার মধ্যে তাণ্ডব থেমে গেলেও, পরিস্থিতি তখনও উত্তপ্ত ।
অবরোধ ও বিক্ষোভের শুরুঃ
সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের ডাকে ফরিদপুর-বরিশাল ও ঢাকা- খুলনা মহাসড়ক এবং রেলপথে অবরোধ শুরু হয় গতকাল রবিবার। যা সোমবারে আরও তীব্র হয়ে ওঠে। বেলা ১১টার দিকে ভাঙ্গার আলগীতে বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধ শুরু করলে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষোভকারীরা সড়কের উপর টায়ার পুড়িয়ে স্লোগান দিতে থাকে, এবং কিছু সময় পর পুরো এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এমন পরিস্থিতিতে, বিক্ষোভকারীরা গ্রামাঞ্চলে মাইকিং করে আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানায়, যার ফলে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ে। ফরিদপুরের বিভিন্ন অঞ্চলের আন্দোলনকারীরা হামিরদী ও আলগী ইউনিয়নসহ আশপাশের এলাকায় যোগ দিতে আসে, ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।
পুলিশের প্রস্তুতি ও স্থানীয়দের দুর্ভোগঃ
বিক্ষোভের পর পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে। যদিও সকাল থেকে ঢাকা-খুলনা ও ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। দুপুরের দিকে সড়ক অবরোধের ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যা সাধারণ মানুষের জন্য নানা দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
প্রসঙ্গঃ
জাতীয় সংসদের আসন পুনর্বিন্যাসে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ আসনের সাথে যুক্ত করা হয়েছে, যা স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এই গেজেটের প্রতিবাদে তারা গত পাঁচ দিন ধরে মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে রেখেছে, যার ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION