টুঙ্গিপাড়া প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্নি ইউনিয়নের মৃত রুস্তম মোল্লার ছেলে শিপুল মোল্লা। অন্যের জমিতে কৃষি শ্রমিকের কাজ করে চালান ছয় সদস্যের সংসার। বর্নি গ্রামে মামাদের জমিতে টিনের ঘর তৈরি করে তিন সন্তান, স্ত্রী ও মাকে নিয়ে বসবাস করতেন। কিন্তু গত ৬ ফেব্রুয়ারি আগুন লেগে মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু পুড়ে ছাই হয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ে দিনমজুর শিপুলের পরিবার।
দরিদ্র ও অসহায় পরিবারটির পাশে দাড়ান টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মঈনুল হক। তাৎক্ষনিক শুকনো খাবার ও নগদ অর্থ সহায়তার পাশাপাশি প্রতিশ্রুতি দেন একটি টিনশেড ঘর তৈরি করে দেয়ার। গত শুক্রবার থেকে ঘরের কাজ শুরু হয়ে সোমবার (১৭ মার্চ) শেষ হয়। আজ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) শিপুলের পরিবার নতুন ঘরে বসবাস করছে।
টুঙ্গিপাড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সুত্রে জানা যায়, এক লাখ চৌদ্দ হাজার টাকা ব্যায়ে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় (টিআর) দিনমজুর শিপুল মোল্লাকে একটি ঘর তৈরি করে দেন উপজেলা প্রশাসন।
দিনমজুর শিপুল মোল্লা বলেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে আমাদের সব শেষ হয়ে যায়। নতুন একটি ঘর তৈরি করার সামর্থ্যও থাকায় অন্যের বাড়িতে বসবাস করছিলাম। তখন আমাদের বিষয়টি ইউএনও স্যার জানতে পেরে শুকনো খাবার ও নগদ অর্থ সহায়তার পাশাপাশি টিনের একটি ঘর তৈরি করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। অবশেষে তিনি আমাদের একটি টিনশেড ঘর তৈরি করে দিয়েছেন। আজ নতুন ঘরে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছি। তাই প্রশাসনের প্রতি আমরা সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো।
এ ব্যাপারে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মঈনুল হক বলেন, আগুন লেগে দিনমজুর শিপুল মোল্লা সর্বস্ব হারিয়েছেন বলতে পারি। তখন সেখানে গিয়ে উপজেলা প্রশাসন থেকে শুকনো খাবার, নগদ কিছু অর্থ সহায়তা করি। এছাড়া তাদের একটি টিনশেড ঘর তৈরি করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেই। সোমবার নতুন ঘরটি শিপুল মোল্লার মায়ের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে রয়েছে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply