মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৭:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কোটালীপাড়ায় ৪০০ ক্ষুদে শিক্ষার্থী পেল স্কুল ব্যাগ ও টিফিন বক্স প্রেমের টানে সুদুর চীন থেকে গোপালগঞ্জে ছুটে এসেছেন এক চীনা যুবক, বিয়ের মাধ্যমে সম্পন্ন হলো সফল প্রেমের গোপালগঞ্জে চায়নাদুয়ারী ও কারেন্টজাল বিক্রির অপরাধে দুই ব্যবসায়ীকে কারাদন্ড ও ৪ব্যবসায়ীকে ১লক্ষ ৫হাজার টাকা অর্থদন্ড ভারতের অন্যায় আবদারের কাছে আমরা মাথানত করবো না – ড. আসাদুজ্জামান রিপন বাদ্যযন্ত্র মনতুরা বানিয়ে সঙ্গীতাঙ্গনে সাড়া ফেলেছেন শিল্পী অজিৎ হালদার কাশিয়ানীতে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে ৬ শিশুসহ আহত-২০ কাশিয়ানীতে ব্যবসায়ীর বাড়িতে দূর্ধর্ষ চুরি সেনাবাহিনীর মিথ্যে পরিচয়ে বিয়ে, শেষ পর্যন্ত ভুয়া প্রমাণিত হয়ে পুলিশ হেফাজতে সোমবার টুঙ্গিপাড়া উপজেলা বিএনপির সম্মেলন। বিএনপির সংবাদ সম্মেলন গোপালগঞ্জে ভ্যান চুরির ঘটনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ! নারীসহ আহত অর্ধশতাধিক

ভোজ্য তেলের আমদানী নির্ভরতা কমাতে পারে, বিনা সরিষা-১১

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ১২.০৮ পিএম
  • ৯৮ Time View

কালের্ খবরঃ

বিনা সরিষা চাষ কমাতে পারে ভোজ্য তেল আমদানী নির্ভরতা। দেশের চাহিদার  ৮০ ভাগ ভোজ্য তেল বিদেশ থেকে আমদনী করতে হয়। এতে  ব্যয়  হয় প্রায় ৩০  হাজার কোটি টাকা। উচ্চ ফলনশীল  সরিষা আবাদ করে ভোজ্য তেলের আমাদনী নির্ভরতা কমানোর সম্ভবনা জাগিয়েছে বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) ।

পরমানু শক্তির ব্যবহার করে বিনা উদ্ভাবন করেছে নতুন জাত ‘বিনা সরিষা-১১’ । জাতটির পডের (ফল) আকার দেশের অন্যান্য সরিষার জাতের তুলনায় অনেক বড়। স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন এ জাতের সরিষা অধিক ফলন দেয়। লাভজনক এ সরিষা  মাত্র ৮০ দিনে কৃষক ক্ষেত থেকে সংগ্রহ করতে পারেন।

বিনা’র গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করণ প্রকল্পের অর্থায়নে ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কাজীপাড়া গ্রামে `বিনাসরিষা-১১’ এর সাথে বরি সরিষা-১৪ এবং স্থানীয় জাতের সারিষার প্রায়োগিক পরীক্ষণ  চাষাবাদ করা হয় । এতে   `বিনাসরিষা-১১’ সবচেয়ে বেশি ফলন দিয়েছে। হেক্টরে এ জাতের সরিষা ১.৯৫ টন ফলন দিয়েছে। বারি সরিষা ফলেছে ১.২৫ টন। আর স্থানীয় জাত ফলন দিয়েছে মাত্র ৬শ’ কেজি।

বিনা গোপালগঞ্জ উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ হারুন অর রশিদ এ তথ্য জানিয়েছে বলেন,  সারাদেশে ভোজ্য তেলের চাহিদা পুরণে প্রতি বছর প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার ভোজ্য তেল আমদানী করতে হয়। তেল আমদানীতে আমাদের যে পরিমান বৈদেশিক মূদ্রা ব্যয় করতে হয়, এতে আমাদের রিজার্ভে চাপ পড়ে। আমরা যদি সচেতন হই। কৃষককে যদি সচেতন করতে পারি। মিডিয়া যদি এটাকে ব্যাপক আকারে  প্রচার করে। তাহলে আমাদের মাটি, পানি ও নিজেদের উদ্ভাবিত ‘বিনাসরিষা-১১’ জাতটা ব্যবহার করে তেলের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। সেই সাথে তেলের আমদানী কমিয়ে আনতে পারি।

বিনা গোপালগঞ্জ উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৌরভ অধিকারী বলেন, গোপালগঞ্জে ‘বিনা সরিষা-১১‘ এর ১টি পডে ৪০ টি সরিষা দানা  ফলেছে। আর বারি সরিষা-১৪ তে ফলেছে ২০/২৫ টি দানা । স্থানীয় জাতের মধ্যে পাওয়া গেছে মাত্র ১০টি দানা। ‘বিনা সরিষা-১১‘ এর দানা মোটা। এ সরিষায় ৪৪% তেল রয়েছে। ভাল পরিচর্যা পেলে এ সরিষা হেক্টরে ২.১ টন ফলন দিতে সক্ষম। তেলের উৎপাদন বাড়িয়ে এ জাত আমদানী নির্ভরতা কমানোর হাতছানি দিচ্ছে।

বিনা’র গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ মাহবুবুল আলম তরফদার বলেন, দেশে ভোজ্যতেলের মোট চাহিদার সিংহভাগই আমদানীনির্ভর। দেশে উৎপাদিত তেলের মধ্যে শীর্ষে সরিষা। এছাড়া সয়াবিন, তিল, বাদাম,সূর্যমুখীসহ দু-একটি অপ্রচলিত তেলবীজের চাষ হয় সামান্য। বোরো, আমন চাষের মাঝের সময়ে দেশের বড় অংশ জমি পতিত থাকে। এ পতিত জমি ব্যবহারসহ দেশে তেলবীজের উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানি নির্ভরতা অর্ধেকে আনতে ৩ বছর মেয়াদি রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করছে সরকার। রোডম্যাপ বাস্তবায়নে এর মধ্যে বেশ কিছু তেলজাতীয় ফসলের সঙ্গে সরিষার আবাদ ব্যাপকভাবে বাড়ানোর প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। মিলতে শুরু করেছে তার সুফলও। এ বছর সারাদেশে ব্যাপকভাবে বেড়েছে সরিষার চাষাবাদ। সারাদেশে উচ্চ ফলনশীল ‘বিনাসরিষা-১১‘ সম্প্রসারণ করতে পারলে সরকারের এ  রোডম্যাপ বাস্তবায়িত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর কাজীপাড়া গ্রামের কৃষক নান্টু মোল্লা বলেন, আমার জমিতে বিনাসরিষা-১১ চাষ করেছে। প্রথমবারই ব্যাপক ফলন দিয়েছে। ক্ষেতে শুধু সরিষা-আর সরিষা। আমার জীবনে এত সরিষা দেখিনি। আমার ক্ষেতের সরিষা দেখে অনেকেই এ জাতের সরিষা আবাদের আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামার বাড়ির উপ-পরিচালক আঃ কাদের সরদার বলেন, স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন বিনাসরিষা-১১ হেক্টরে ২ টনের বেশি ফলন দেয়। এ সরিষার আবাদ লাভজনক। সরিষা কেটে ক্ষেতে বোরো ধান করা যায়। ২ ফসলী জমিতে বছরে ৩টি ফসল ফলে। এসব কারণে  তেলের ঘাটতি পূরণে আমরা এ সরিষা আবাদ করতে চাই।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Advertise

Ads

Address

Office : Sheikh Fazlul Haque Moni Stadium (2nd floor), Gopalganj-8100 Mobile: 01712235167, Email: kalerkhabor24.com@gmail.com
© All rights reserved 2022

Design & Developed By: JM IT SOLUTION