
বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্র) সমন্বয়কদের উপর হামলার ঘটনায় তদন্ত কাজে অপারগতা প্রকাশ করে তদন্ত কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন কমিটির সভাপতি ও সদস্য সচিব।
গত রবিবার (২৬ জানুয়ারী) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রারের কাছে তারা এ পদত্যাগপত্র জমা দেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানাগেছে, গত ২৫ জানুয়ারী (শনিবার) পরীক্ষা শেষে বাইরে বের হন ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কর্মী শরিফুল ইসলাম সোহাগ। এসময় সমন্বয়করাসহ সাধারন শিক্ষার্থীরা তাঁকে আটক করেন। তখন সোহাগের অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মীরা হামলা চালিয়ে শরিফুল ইসলাম সোহাগকে ছিনিয়ে নেয়। এসময় দুই সমন্বয়কসহ ৫জন আহত হন। এ ঘটনায় ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন আব্দুল্লাহ আল আসাদকে সভাপতি ও শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট মোঃ শাহাবুদ্দিনকে সদস্য সচিব করে সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যায় প্রশাসন। এ কমিটিকে ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতেও বলা হয়েছিল।
কিন্তু তদন্ত করতে অপারগতা প্রকাশ করে রাতে রেজিষ্ট্রার বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন তদন্ত কমিটির প্রধান ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন আব্দুল্লাহ আল আসাদ ও সদস্য সচিব শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট মোঃ শাহবউদ্দিন।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির সভাপতি ও ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন আব্দুল্লাহ আল আসাদ বলেন, আমি শারীরিক ভাবে অসুস্থ থাকায় তদন্ত করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। যে কারনে আমি রেজিষ্ট্রার বরাবর কাজে অপারগতা জানিয়ে পত্র জমা দিয়েছি।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ও শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট মোঃ শাহবউদ্দিন বলেন, আমাকে না জানিয়ে কমিটির সদস্য সচিব করে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু শারীরিবভাবে অসুস্থ ও পারিবারিক সমস্যা থাকায় আমার পক্ষে তদন্ত কাজে সহায়তা করা সম্ভব নয়। যে কারনে আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছে। বাকিটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঠিক করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার মো. এনামউজ্জামান বলেন, তদন্ত করতে অপারগতা প্রকাশ করে রাতে পদত্যাগপত্র জমা দেন তদন্ত কমিটির প্রধান ও সদস্য সচিব। বিষয়টি উপাচায্যকে জানানো হবে। তিনি বিষয়টির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ জানুয়ারী (শনিবার) পরীক্ষা শেষে বাইরে বের হন ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কর্মী শরিফুল ইসলাম সোহাগ। এসময় সমন্বয়করাসহ সাধারন শিক্ষার্থীরা তাঁকে আটক করেন। তখন সোহাগের অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মীরা হামলা চালিয়ে শরিফুল ইসলাম সোহাগকে ছিনিয়ে নেয়। এসময় দুই সমন্বয়কসহ ৫জন আহত হন। এ ঘটনায় গত রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ফয়সাল জামান ফাহিম বাদি হয়ে শরীফুল ইসলাম সোহাগকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ২০ জন অজ্ঞাত আসামী করে গোপালগঞ্জ সদর থানার একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নাম্বার ৩৯)।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION