কোটালীপাড়া প্রতিনিধিঃ
আগে শুধু বৃষ্টি বা রোদের তাপ থেকে রক্ষার পেতে ব্যবহৃত হতো ছাতা। এখন বৃষ্টি বা রোদের তাপ থেকে রক্ষার পাশাপাশি সাজসজ্জার কাজেও ব্যবহৃত হচ্ছে ছাতা। আর এই ছাতা দিয়ে সাজসজ্জার কাজ করে দৃষ্টিনন্দন করা একটি মার্কেটে বেড়েছে ক্রেতা ও দর্শণার্থীদের ভিড়।
দূরদুরান্ত থেকে এই মার্কেটে ক্রেতারা আসছে তাদের পছন্দ মতো পণ্য কিনতে। কেউবা আবার পরিবার নিয়ে ঘুরছে। কেউবা স্মৃতি ধরে রাখতে ছবি তুলছে।
প্রতিদিনই এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার পৌর কিচেন মার্কেটে। সম্প্রতি এই মার্কেটের বর্ধিত অংশে সহস্রাধিক রঙ্গিন ছাতা দিয়ে সাজানো হয়েছে। ক্রেতাদের ভিড় বাড়াতে মার্কেটটিকে এই অপরূপ সাজে সজ্জিত করা হয়েছে।
পৌরসভাসূত্রে জানাগেছে, গত ৬ বছর আগে কোটালীপাড়া পৌরসভা থেকে ঘাঘর বাজারের উত্তর পাশে ৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩ তলা বিশিষ্ট একটি আধুনিক পৌর মার্কেট গড়ে তোলা হয়। স্থান নির্ধারণে ত্রুটি ও প্রকৃত ব্যবসায়ীদের দোকান বরাদ্দ না দেওয়ার কারনে মার্কেটের বেঁচাবিক্রি জমে ওঠেনি।
বিগত দিনে এই মার্কেটের ক্রেতা সমাগম বাড়াতে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেও পৌরসভার দায়িত্বে থাকা জনপ্রতিধিরা ব্যর্থ হয়। এ অবস্থায় বর্তমান পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহীনুর আক্তার এই মার্কেটি সু-সজ্জিতকরণ ও ক্রেতা সাধারণদের ভিড় বাড়াতে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
এরই অংশ হিসেবে প্রায় সহস্রাধিক রং বেরং এর ছাতা দিয়ে মার্কেটের পাশের সড়কগুলো অপরূপ সাজে সাজিয়েছে। রাস্তা সজ্জিত করণের পর মার্কেটে ক্রেতাদের সমাগম প্রতিদিন বেড়েই চলছে।অনেকে আবার পরিবার নিয়ে দর্শনীয় এই মার্কেটিতে ঘুরতে আসেন। এখান থেকে তারা ছবি বা ভিডিও করে ছড়িয়ে দেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
তারাশী গ্রামের স্কুল ছাত্রী তুষ্টি বলেন, আমি বাবা মায়ের সাথে এই মার্কেটে ঘুরতে এসেছি। মার্কেটটি দেখে আমার খুব ভালো লাগছে।
মার্কেটে আসা নাজমুল দাড়িয়া নামে এক ব্যক্তি বলেন, রঙ্গিন ছাতা দিয়ে সজ্জিত এই মার্কেটের বিষয়টি আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখতে পারি। এরপর বন্ধুদের নিয়ে এখানে ঘুরতে আসি। দৃষ্টিনন্দন এই মার্কেট দেখে আমরা অভিভুত। এটাকে কোনভাবেই বাংলাদেশের কোন মার্কেট মনে হচ্ছে না। এটিকে ভিয়েতনাম বা বিশ্বের উন্নত কোন দেশের মার্কেট বলে মনে হচ্ছে।
মার্কেটে ঘুরতে আসা গৃহিনী নুসরাত জাহান বলেন, আমি আমার সন্তানদের নিয়ে মার্কেটে ঘুরতে এসেছিলাম। এখানে এসে নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্য পছন্দ হওয়ায় কিনে নিলাম। মার্কেটে পছন্দনীয় সামগ্রী পেয়ে ও দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ দেখে খুবই ভালো লাগছে।
কোটালীপাড়া পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীনুর আক্তার বলেন, মার্কেটটি নির্মাণের পরে ক্রেতাসাধারণ না আসায় প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। এ অবস্থায় আমরা মার্কেটিকে রঙ্গিন ছাতাসহ নানা উপকরণ দিয়ে সজ্জিত করা হয়। এখন এই মার্কেটটিকে দেখতে ও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয়ের জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা আসছেন। মার্কেটটিতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগম ঘটাতে আগামীতে আমরা আরো নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply