কালের খবরঃ
এবার গোপালগঞ্জে ব্রঞ্জের তৈরী গহণা জিআই পন্যের স্বীকৃতি পেতে আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় জেলা প্রশসক কাজী মাহবুবুল আলম জিআই পন্যের অর্ন্তভূক্তির জন্য বাংলাদেশ শিল্পমন্ত্রনালয় বরাবর এই আবেদন করেন। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড় ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে প্রায় একশ বছর আগের থেকে ব্রঞ্জের গহনা তৈরী হয়ে আসছে। এই গহনা গোপালগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষের কাছে বেশ সমাদৃত। এসব গহণা একসময় দেশের গন্ডি পেরিয়ে পাশের দেশ ভারতেও বিক্রি হয়েছে । বর্তমানে জলিরপাড় বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় ব্রঞ্জের গহণা বিক্রির জন্য একটি বাজার গড়ে উঠেছে। ক্রেতা বিক্রেতেরা এই বাজার থেকে গহণা কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রির জন্য ছড়িয়ে পড়েন। আজ এই পন্যের জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় সভা। সভায় জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক আজাহানুল ইসলামের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শেখ জোবায়ের আহমেদ, মুছাঃ নাজমুন নাহার, গোলাম কবীরসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন স্থরের কর্মকর্তাগণ ও আবেদনকারী সংস্থা ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের প্রেসিডেন্ট কাকলি তালুকদারসহ গোপালগঞ্জে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, গোপালগঞ্জের ব্রঞ্জ শিল্প সুপ্রাচীন কাল থেকে। স্থানীয়দের তথ্যমতে প্রায় শত বছর আগে এই এলাকায় ব্রঞ্জের গহনা তৈরী শুরু হয়। এখানকার কারিগররা বংশ পরম্পরায় অভিজ্ঞ। মুকসুদপুরের এই প্রামটির মধ্য দিয়ে বয়ে চলেছে মধুমতি বিলরুট চ্যানেল। এই নদীর পানি মিঠা হওয়ায় ব্রঞ্জের গহনার রং টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী হয়। এছাড়া আবহাওয়া রোদৌজ্জ্বল হওয়ায় রং পাকা হয়ে থাকে যা অনাসায়ে ২ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত ব্যবহারের উপযোগী । তিনি আরো বলেন গোপালগঞ্জে ব্রঞ্জ শিল্প জিআই পন্যে পরিনত হলে এর চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। কারখানা মালিক ও শ্রমিকদের বেচা বিক্রি বেড়ে যাবে। অর্থনৈতিক ভাবে সাবলম্বী হবে। আর এই কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা ফিরে পাবে তাদের হারাতে বসা ব্যবসা।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply