কালের খবরঃ
গোপালগঞ্জে বিভিন্ন স্থানে বসেছে বিদ্যার দেবী সরস্বতি প্রতিমার হাট। সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এসব হাট থেকে সরস্বতি মূর্তি কিনে নিচ্ছেন। জেলার সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়ীতে ও বিভিন্ন মন্দিরে পূঁজার আয়োজন করা হয়। পূঁজা উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে বসেছে প্রতিমার হাট। এসব হাটে বেচাবিক্রি শুরু হয়েছে। বুধবার (১৪ ফেরুয়ারী) অনুষ্ঠিত হবে সরস্বতি পূঁজা।
প্রতি বছরের মত এবছরও বুধবার শুক্লাপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে ও বিভিন্ন মন্দিরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে দেবী স্বরসতী পূঁজা। তিথি শুরু হবে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রæয়ারী) বেলা ২টা ৪১ মিনিটে। আর শেষ হবে পরের দিন বুধবার (১৪ফেব্রæয়ারী) বেলা ১২টা পর্যন্ত। এ পূজার প্রধান অনুসঙ্গ হল প্রতিমা। জেলা শহরের গোহাট সার্বজনীন কালীবাড়ীসহ জেলার অর্ধ শতাধিক স্থানে সরস্বতী প্রতিমার হাট বসেছে। আর প্রতিমা বিক্রির জন্য এসব হাটে মূর্তি নিয়ে এসেছেন কারিগররা। এসব প্রতিমা বেচাবিক্রি চলবে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত। মানুষ পছন্দ আর সাধ্য মত কিনছেন এসব প্রতিমা। তবে এ বছর প্রতিমার দাম অন্যান্য বছরের তুলনায় একটু বেশি বলে দাবী করেন ক্রেতারা। এছাড়া শিক্ষার্থীরা অধীর অগ্রহে সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন দেবীর পায়ে অঞ্জলী দেবার জন্য।
হাটে উঠানো এক একটি প্রতিমা বিক্রি হচ্ছে দুইশ থেকে ৬ হাজার টাকায়। শুধু প্রতিমাই নয় এ হাটে বিক্রি হচ্ছে পূঁজার অন্যান্য উপকরণও।গোপালগঞ্জ শহরের খাটরা সার্বজনীন কালিবাড়িতে মূর্তি কিনতে আসা বটতলা এলাকার বাসিন্দা (শিক্ষার্থী) প্রত্যাশা মন্ডল, আমারা প্রতিবছর বাড়িতে সরস্বতি পূঁজা করি। বিদ্যার দেবী মা সরস্বতির আশির্বাদ পাওয়া জন্য আমাদের এই আয়োজন।
নতুন বাজার রোডের উত্তম সাহা, বিষ্ণু সাহা, অসিম রায়, সমীর আইচ, প্রেরণা মন্ডল, অলোক বিশ্বাস, কিশোর চন্দ্র চন্দের সাথে কথা হলে তারা বলেন , প্রতি বছরের মত এ বছর বাড়ীতে সরস্বতী পূঁজা অনুষ্ঠিত হবে। সেজন্য গোহাট সার্বজনীন কালীবাড়ীতে সরস্বতী প্রতিমা কিনতে এসেছি। এবছর প্রতিমার দাম একটু বেশী বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু পূঁজা করতে প্রতিমা ছাড়া উপায় নেই। তাই কিনতে হচ্ছে।
প্রতিটি মূর্তি দুইশ টাকা থেকে ছয় হাজার টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। গত বছরের তুলানায় এ বছর দাম তুলনামূলক বেশি বলে স্বীকার করেছেন মূর্তির কারিগররা। গোপালগঞ্জ শহরের গোহাট সার্বজনীন কালীবাড়ী হাটে কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ গ্রামের প্রতিমা শিল্পী দিপক পাল, কমলেশ পাল, তপন পাল ও সদর উপজেলার কার্তিক পাল বলেন, প্রতিমা নিয়ে হাটে এসেছি। প্রতিমা তৈরীর কাজে ব্যবহৃত মাটি, ছোন, রংসহ বিভিন্ন সরঞ্জামের দাম প্রতিবছরই বেড়েই চলছে। এতে প্রতিমার দাম কিছুটা বাড়লেও ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply