কালের খবরঃ
গোপালগঞ্জে বোরো মৌসুমে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে হাইব্রিড ও উপসি ধানের বীজ বিতরণ করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউ গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রশাসন ও সাধারণ সেবা বিভাগের পরিচালক ডঃ মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব বীজ বিতরণ করেন।
ধান গবেষণা ইনস্টিটিউ গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের ইনচার্জ মোঃ জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কার্যালয়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৃজন চন্দ্র দাস ও খালিদ হাসান তারেক এবং গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পার্বতী বৈরাগী বক্তব্য রাখেন।
পরে গোপালগঞ্জ সদর, টুঙ্গিপাড়া এবং মোল্লাহাট উপজেলার কৃষকদের নিয়ে ব্রি-ধান ১০৩ এর উপর একটি মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রশাসন ও সাধারণ সেবা বিভাগের পরিচালক ডঃ মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, ব্রি-ধান ১০৩ আমন সিজনের একটি উচ্চ ফলনশীল ধান। এর হেক্টর প্রতি ফলন প্রায় ৬ টন। যা স্থানীয় জাতের তুলনায় অনেক বেশি। তিনি জানান বোরো মৌসুমের জন্য ব্রি উদ্ভাবিত হাইব্রিড ধানের জাত ব্রি হাইব্রিড ৩, ব্রি হাইব্রিড ৫ এবং ব্রি হাইব্রিড ৮ এর ফলন বিদেশ থেকে আনা অন্যান্য হাইব্রিড ধানের তুলনায় বেশি। আগামী ২০২৫ সাল থেকে বিদেশী হাইব্রিড ধানের বীজ অনা বন্ধ করতে যাচ্ছে সরকার। তাই ব্রি উদ্ভাবিত হাইব্রিড ও উপসি ধানের চাষাবাদে সকল কৃষককে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
ধান গবেষণা ইনস্টিটিউ গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের ইনচার্য মো জাহিদুল ইসলাম বলেন, ব্রি উদ্ভাবিত উপসি ধানের জাত ব্রি ধান ১০৩ এর ফলন আগে জনপ্রিয়তা পাওয়া ব্রি ধান ৮৬ এর থেকেও বেশি। এই ধানটি গোপালগঞ্জ ও এর পার্শবর্তী এলাকার পরিবেশে চাষাবাদে অত্যন্ত উপযোগি। তিনি বলেন এই ধানটি চাষাবাদ করলে কৃষক আরো বেশি লাভবান হবেন।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply