কালের খবরঃ
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নিজড়া ইউনিয়নের ৭টি খালের তলদেশ ভরাট ও কচুরীপানা জমে চরম ভোগান্তীতে রয়েছেন নিজড়া ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ। বর্ষা মৌসুমে বিলের পানিতে নৌকায় চলাচল করতে পারলেও শুকনা মৌসুমে পায়ে হাটা ছাড়া উপায় থাকেনা। ফলে মালামাল ও এলাকার উৎপাদিত ফসল আনানেয়া করতে বেকায়দায় পড়তে হয় গ্রামবাসীদের। এমন খবর পেয়ে সমস্যা সমাধানে এলাকা পরিদর্শণ করেছেন গোপালগঞ্জের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ এহসানুল হক। তিনি রবিবার (২৮ আগস্ট) দুপুর ১২টায় এলাকায় পৌছে খালগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন। পরিদর্শণ করেন নিজড়া ইউনিয়নের মোল্লাকান্দি খাল, নিজড়া পশ্চিমপাড়া খাল, কাঁঠালবাড়ি খাল, নারিকেলবাড়ি খাল,বিদ্যাধর খাল ও নিজড়া দক্ষিণপাড়া খাল। এসব খালের বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন ও খালগুলো খননের জন্য এলজিইডির সদর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাহিদুল ইসলামকে প্রকল্প গ্রহণপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
এছাড়া তিনি উলপুর-তালতলা আঞ্চলিক সড়কের সম্প্রসারণ নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শণ করেন এবং ঠিকাদারকে নির্মাণ সংক্রান্ত পরামর্শ প্রদান করেন। এসময় এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী রঞ্জন কুমার সাহা, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ওবায়দুর রহমান, সমাজ বিজ্ঞানী ইমরান হোসেন,নিজড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আহম্মদ আলী মিনা,ইউপি মেম্বার ওলিউর রহমান সিকদার,জোবায়ের হোসেন, শামীম সরদার, আসাদুজ্জামান সরদার,মোঃ মেহেদী খান, তহমত খান,৮নং ওয়ার্ডের মেহেদী খান ও কৃষ্ণ চন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য নিজড়া ইউনিয়নের ৭টি খালে কচুরীপানা ও তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় জমির ধান ও অন্যান্য ফসল বাড়ীতে আনতে বেগ পেতে হয় কৃষকদের। সেই সাথে পানি পঁচে মানুষের ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়ে। এসব খালের পানি নিজড়া, বটবাড়ী, বিদ্যাধর,নারকেলবাড়ী, মোল্লাকান্দি, তালতলা, কাঁঠালবাড়িসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় হাজার হাজার মানুষ রান্না-বান্নাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করে থাকেন। বিশেষ করে এসব খালের পানির উপর নির্ভর করে এলাকার প্রায় ১০ হাজার একর জমিতে ফসল ফলিয়ে থাকেন। কিন্তু, কচুরীপানায় ও খালের তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়া এসব খাল দিয়ে নৌকা চলাচল করতে পারে না। জমি থেকে ধান কেটে মাথায় করে বাড়ি আনতে অতিরিক্ত টাকা খরচ হয়। মাঝে মধ্যে ডায়রিয়াসহ চর্ম রোগে ভোগেন এলাকার মানুষে এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই খালগুলোতে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply