কোটালীপাড়া প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় চার্চে দেয়া প্রাক বড়দিন অনুষ্ঠানের খাবার খেয়ে সোমবার রাতে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় ১৪৮জন। বর্হিবিভাগে চিকিৎসা নেয় ১৫ জন। মোট ১৬৩ জন অসুস্থ হলেও এখন হাসপাতালে ভর্তি আছে ৯জন শিশু- কিশোর। বাকীরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।কোটালীপাড়া উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শেখ ফারুক আল শাহেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল সোমবার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় প্রাক-বড়দিন অনুষ্ঠানের খাবার খেয়ে প্রায় দুইশ’ শিশু-কিশোর অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ শিশু-কিশোরদের উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়।সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের চার্চ অব বাংলাদেশের প্রাক-বড়দিনের অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠান শেষে তাদের হাতে রান্নাকরা খাবার দেয়া হয়। সেই খেয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, কান্দি চার্চে (চার্চ অব বাংলাদেশ) এর প্রকটি প্রকল্পের মাধ্যমে সকাল ৯ টা থেকে সংস্থাটির তালিকাভুক্ত ৩শ’ ২০ জন শিশু-কিশোরকে নিয়ে প্রাক-বড়দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।এ সকল শিশু-কিশোরকে দুপুর ২ টার দিকে বিরিয়ানী খাবারের প্যাকেট দেওয়া হয়।এই বিরিয়ানীর প্যাকেট বাড়িতে নিয়ে শিশু-কিশোরগণ খাওয়ার পরে সন্ধ্যার দিকে তাদের বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়।
পরবর্তীতে অসুস্থ শিশু-কিশোরদের অভিভাবকগণ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১৬৩ শিশু-কিশোরকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য কেন্দ্র সূত্রে জানাগেছে।
কান্দি ইউনিয়নের ওই চার্চের প্রজেক্ট ম্যানেজার রিপন কুন্দা বলেন, আমাদের সংস্থার তালিকাভূক্ত ৩শ’ ২০ জন শিশু-কিশোরকে নিয়ে প্রাক-বড়দিনের অনুষ্ঠান করি। এদেরকে স্থানীয় ধারাবাশাইল বাজারের গোবিন্দ বোস হোটেল থেকে বিরিয়ানীর প্যাকেট দেওয়া হয়। এই বিরিয়ানী খেয়ে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমরা এই শিশুদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য ধারাবাশাইল বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী গোবিন্দ বোসের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কুমার মৃদুল দাস বলেন, গতকাল সোমবার সন্ধ্যার দিক থেকে হাসপাতালে বমি ও পাতলা পায়খানা জনিত সম্যসা নিয়ে শিশু-কিশোরেরা আসতে থাকে। সময় বাড়ার সাথে সাথে এই রোগীদের চাপ বাড়তে থাকে। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি খাদ্য খেয়ে এই সমস্যা থেকে এরা অসুস্থ হয়েছে।তিনি আরো বলেন, ১৬৩ জন অসুস্থ হলেও এখন হাসপাতালে ভর্তি আছে ৯জন। বাকীরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।
কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনুর আক্তার বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসার সুব্যস্থা করি। বর্তমানে সবাই সুস্থ আছে । বাকী যারা ভর্তি আছে তারাও বেশ ভালো অবস্থায় আছে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply