কালের খবরঃ
মিয়ানমার থেকে আমাদের দেশে মাদক আসার বিষয়টি রাজনৈতিক উল্লেখ করে র্যাব ডিজি এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় মাদক ব্যবসায়ী আমাদের জালে।যে কোন সময় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে এম এ খালেক ডিগ্রী কলেজ মাঠে শনিবার ( ২৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, মিয়ানমার অনেক আগে থেকেই পায়ে পা লাগিয়ে আমাদের সাথে ঝগড়া করার জন্য লেগে রয়েছে।তারা আমাদের দেশে মাদক ঢুকিয়ে, রোহিঙ্গা পাঠিয়ে নানা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু, আমাদের প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় মনোভাবের কারণে এটা থেকে রক্ষা পেয়েছি। এখন যুদ্ধে যাওয়া মানে দেশটা শেষ হয়ে যাওয়া। মিয়ারমারে এখন সামরিক সরকার রয়েছে। তারা আরাকান আর্মির সাথে যুদ্ধ চলছে। তাই ওরা আমাদের সাথে ঝামেলা সৃষ্টি করে ফায়দা লুটতে চাচ্ছে।
এরআগে র্যাব ডিজি এম খুরশীদ আলম কাশিয়ানী এম এ খালেক কলেজ মাঠে আয়োজিত কাশিয়ানী উপজেলার ১শ’ ৯ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতিশিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন এবং কৃতি শিক্ষার্থীদের প্রত্যেককে নগদ ১০ হাজার টাকা ও ক্রেস্ট প্রদান করেন।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, এই প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে শুধু বই খাতা দিয়ে স্কুলে পাঠালে হবে না। এই বাস্তবতা কিন্তু এখন আর নাই। তাই বাচ্চাদের শৈশব থেকে শিখাতে হবে। নীতি-নৈতিকতা পরিবার থেকেই শিখতে হয়। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের মূল ভুমিকা রয়েছে ও এরপর শিক্ষকদের।
দেশে অভিজ্ঞ লোকের অভাব রয়েছে উল্লেখ করে র্যাব ডিজি বলেন, দেশে বর্তমানে অভিজ্ঞ লোকের অভাব রয়েছে বলেই আমাদের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। এখনকার প্রত্যেকটি ক্যাডারে মধ্যে পেশাদারিত্বের খুব ঘাটতি রয়েছে। যেমন লেখাপড়ায় ঘাটতি রয়েছে, পেশাদারিত্বে ঘাটতি রয়েছে, শৃঙ্খলায় ঘাটতি রয়েছে। এটাকে যদি আমাদের ওভারকাম করতে হলে এখন থেকে চেষ্টা করতে হবে। যাতে যুব সমাজ বা নতুন প্রজন্ম অবাধ্য হয়ে না যায়।
তিনি আরো বলেন, মাদক হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসা। রাতারাতি ধনী হওয়ার ব্যবসা। এটা জনপ্রতিনিধিসহ সবাই জানে। কোন একক বাহিনীর পক্ষে মাদক নির্মূল করা সম্ভব না। মাদক নির্মূল করতে হলে সকলে মিলে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে র্যাব ডিজি বলেন, আপনাদের মডেল হতে হবে। কারণ পরিবারের পরেই আপনারদের স্থান। আপনাদেরই সঠিক শিক্ষা দিতে হবে। আপনাদের সুযোগ সুবিধা এখন একটু কম থাকলেও আগামীতে ঠিক হয়ে যাবে।
অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে ডিজি বলেন, ছেলে-মেয়েকে স্কুল কলেজে পাঠিয়ে ঘরে বসে থাকলে হবে না। খবর রাখতে হবে মাদকের সহজলভ্যতা সন্তানটিকে শেষ করে দিচ্ছে কিনা।
এম এ খালেক ডিগ্রী কলেজ মাঠে র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লে.কর্ণেল ফিরোজ কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা ও বৃত্তিপ্রদান অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এম এ খালেক ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ কেএম মাহাবুব, ভাটিয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জাহিদুর রহমান, জেলা শিক্ষা অফিসার সেলিম তালুকদার, পুলিশ সুপার (অপারেশন)কাজী মাহাবুবুল আলম,ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, র্যাব ডিজি এম খুরশীদ হোসেন বিগত ১৯৮০ ও ৮১ সালে এই কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply