সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে গোপালগঞ্জে বিএনপির দোয়া মাহফিল গোপালগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারে দুই পক্ষের ৩০জন আহত জবাবদিহি নিশ্চিতে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের ব্যতিক্রম আয়োজন মুকসুদপুরে দুই লাখ টাকার ভেজাল সার ও কিটনাশক জব্দ, দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা বিসিক উদ্যোক্তা মেলায় ৬০ লাখ টাকার পণ্য বেচা-কেনা তারুণ্যের উৎসব পালনে গোপালগঞ্জে ৮ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট টুঙ্গিপাড়ায় স্লুইচগেট ভেঙ্গে ভোগান্তীতে দশ গ্রামের হাজারও মানুষ গোপালগঞ্জে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল মাদক ব্যবসায় রাজি না হওয়ায় গো*পনা* ঙ্গে ছ্যাঁকা ! মারপিট করে আহত এক হোটেল ব্যবসায়ীকে চাঁদাবাজির অভিযোগে কাশিয়ানীতে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে থানায় মামলা

মুকসুদপুরে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষনের অভিযোগ। ৪ শিক্ষক আটক

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ৬.৪২ পিএম
  • ১২৪ Time View

মুকসুদপুর প্রতিনিধিঃ

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বাঁশবাড়িয়া পরিজান বেগম মহিলা কওমি মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রী ধর্ষনের শিকার হয়েছে। ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শিশুটি মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষার্থী ছিল। ধর্ষনের শিকার ওই শিক্ষার্থীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ( ৮ফেব্রুয়ারী) ৪ মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।বুধবার(৭ ফেব্রুয়ারী ) রাত ৮টার দিকে মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া পরিজান বেগম মহিলা কওমী মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুল আলম ও মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. দ্বীপ সাহা ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, মুকসুদপুরের বাঁশবাড়িয়া পরিজান বেগম মহিলা কওমি মাদ্রাসা থেকে অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে যায় ওই শিক্ষার্থী। এসময় তার শারীরিক অসুস্থতা ও পোশাকে রক্ত দেখে পরিবারের লোকজন মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। এসময় ওই মাদ্রাসার শিক্ষক তাকে নির্যাতন করেছে বলে জানায়। হাসপাতালে শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাপাতালে ভর্তি করে। শিক্ষার্থীর বাবা জানান, আমার মেয়ে বাঁশবাড়িয়া পরিজান বেগম মহিলা কওমী মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে। এ ঘটনার পর আমার মেয়ে মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে আসে।

আসার পরে তাকে শারীরিক ভাবে খুবই অসুস্থ ও জামা কাপড়ে রক্তের দাগ দেখে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মেয়ে বলেছে মাদ্রাসা থেকে তার হুজুর তার সাথে খারাপ কাজ করেছে। পরে সে অচেতন হয়ে পড়ে। কোন কথা বলতে পারেনি। হাসপাতালে ভর্তি করার পর ডাক্তার ও নার্স শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে আমাদের জানায় মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। জ্ঞান হারানোর পর দ্রুত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং সেখানে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া ৫টা পর্যন্ত মেয়েটির জ্ঞান ফেরেনি।

তিনি আরো বলেন, হুজুরের কাছে দিয়েছিলাম দ্বীনের শিক্ষা নিতে, সেই হুজুর আমার মেয়েকে ধর্ষণ করলো? তাহলে সন্তানের নিরাপত্তা কোথায়?  কোথায় দেবো শিক্ষাগ্রহন করতে? একজন শিক্ষক কিভাবে একাজ করতে পারলো? আমি আমার মেয়ের ধর্ষণের বিচার চাই।

মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক কর্মকর্তা ডা. দ্বীপ সাহা জানান, শিশুটির অবস্থা দেখে প্রাথমিক ভাবে ধর্ষণ মনে হয়েছে। পরে নার্স ডেকে তাকে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করা হলে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। শিশুটির শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি।মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুল আলম আরো বলেন,এ ঘটনায় মামলা না হলেও মাদ্রাসার ৪শিক্ষককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শিশুটির জ্ঞান ফিরলে তার দেয়া তথ্যমতে দোষীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজাতে পাঠানো হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Advertise

Ads

Address

Office : Sheikh Fazlul Haque Moni Stadium (2nd floor), Gopalganj-8100 Mobile: 01712235167, Email: kalerkhabor24.com@gmail.com
© All rights reserved 2022

Design & Developed By: JM IT SOLUTION