গোপালগঞ্জে “রুরাল এমপ্লয়মেন্ট এন্ড রোড মেইনটেন্যান্স কর্মসূচী-৩” এর আওতায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ২১০ নারী শ্রমিককে এ্যাপ্রোন প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলা হলরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে নারী শ্রমিকদের হাতে ্এ্যাপ্রোন তুলেদেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এলজিইডি গোপালগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ এহসানুল হক।
এলজিইডির সদর উপজেলা প্রকৌশলী এস এম জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ্যাপ্রোন প্রদান অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মহসিন উদ্দিন, এলজিইডি গোপালগঞ্জের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মোঃ হাবিবুর রহমান, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সেলিম নারী শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে দিক-নির্দেশনা মূলক বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে সদর উপজেলার ২১ ইউনিয়নের ২১০ নারী শ্রমিকসহ এলজিইডির বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন।
এলজিইডি গোপালগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ এহসানুল হক বলেন, চার বৎসর মেয়াদী “রুরাল এমপ্লয়মেন্ট এন্ড রোড মেইনটেন্যান্স কর্মসূচি-৩” ২০১৯ সালে প্রায় ১৭২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে একনেক কর্তৃক অনুমোদিত হয়। এ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের সকল জেলার সকল ইউনিয়নে প্রায ৫০ হাজার নারী কর্মী, যারা সুস্থ, সবল, কর্মক্ষম অথচ স্বামী পরিত্যাক্তা, বিধবা, অসহায়, দুঃস্থ সামান্য একটু কর্মের বিনিময় নিজেদের অবস্থার পরিবর্তন করতে ইচ্ছুক তাদেরকে এ প্রকল্পের আওতাভুক্তকরা হয়েছে। সকাল ৮টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত তাদের নির্দিষ্ট আইডিভুক্ত রাস্তায় নির্দেশ মোতাবেক বাস্তার দুপাশে আগাছা পরিষ্কার, রাস্তার এজিংয়ে মাটি দুরমুজ করা,এইচবিবি রাস্তায় সরে যাওয়া ইট পুনঃস্থাপন করা, মাটির রাস্তায় গর্ত ভরাট করে ভ্যান, অটোরিক্সা অন্যান্য যানবাহন চলাচলের সুযোগ তৈরি করা।
স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ , হাসপাতাল, মন্দির এবং জন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা প্রকল্প ভুক্ত এসব নারী কর্মীদের কাজ। বিনিময়ে তারা প্রতিদিন ২৫০ টাকা হারে মজুরী পেয়ে থাকেন। তার মধ্যে ৮০টাকা হারে প্রতিদির সঞ্চয় হিসেবে প্রতি মাসে ২৪০০.০০টাকা সংশ্লিষ্ট নারী কর্মী এবং নির্বাহী প্রকৌশলী এলজিইডি সংশ্লিষ্ট জেলার সাথে যৌথ স্বাক্ষরে সোনালী ব্যাংকে সঞ্চয় জমা থাকে। প্রকল্প সমাপ্ত হলে তাদেরকে আয় বর্ধন মূলক মৎস্য, কৃষি, হাস-মুরগি ও পশুপালন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে প্রতিটি নারী কর্মীকে তাদের সঞ্চিত অর্থ এবং লভ্যাংশসহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার চেক প্রদান করা হবে। যাতে তাদেরকে তাদের পূর্বের অসচ্ছল অবস্থানে ফিরে যেতে না হয়।
গোপালগঞ্জ এলজিইেিত আরইআরএমপি-৩ প্রকল্পে ১লা জুন’২০২০ থেকে গোপালগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলায় ৬৭ টি ইউনিয়নে ৬৭০ জন হতদরিদ্র নারী কর্মী দ্বারা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। কাজ করার জন্য তাদেরকে ঝুড়ি, কোদাল, দুরমুজ, দা, হাসুয়া, কলস, মগ, এপ্রোন, প্রাথমিক চিকিৎসা বক্স প্রদান করা হয়েছে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply