বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ১১:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
গোপালগঞ্জে ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার কোটালীপাড়ায় পুড়িয়ে ধ্বংস করা হলো ১৪ লাখ টাকার অবৈধ চায়নাদুয়ারী জাল পরিবহন সেবার মান বৃদ্ধিতে কাজ করছে গোবিপ্রবি প্রশাসন গোবিপ্রবি-তে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, সংবাদ সম্মেলন ও স্মারকলিপি পেশ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৪ শ’ কৃষক-কৃষাণী পেল প্রণোদনার বীজ-সার নুরের উপর হামলার প্রতিবাদে টুঙ্গিপাড়ায় বিক্ষোভ মিছিল গোপালগঞ্জে সেনা ও র্যা ব অফিসার পরিচয় দেয়া দুই প্রতারকে গনধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ গোপালগঞ্জে মধুমতি নদীতে মায়ের সাথে গোসল করতে নেমে মেয়ে নিখোঁজ মুকসুদপুরে নেশা ও জুয়ার খেলায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে মারপিট করে আহত করেছে স্বামী কোটালীপাড়ায় দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন

গোপালগঞ্জে স্ত্রীর করা যৌতুক মামলায় এক পুলিশ সদস্য শ্রীঘরে

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৩, ৬.২৪ পিএম
  • ১৪৪ Time View

কালের খবরঃ

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে স্ত্রীর করা যৌতুক মামলায় জুয়েল মোল্লা (২৫) নামে এক পুলিশ সদস্যকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত। এ সময় এ মামলা অপর তিন আসামীতে খালাস দেয়া হয়েছে। দন্ডপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যকে আদালত থেকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।মঙ্গলবার (২৯ আগষ্ট) দুপুরে আসামীদের উপস্থিতিতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক অনুশ্রী রায় এ আদেশ দেন।

দন্ডপ্রাপ্ত ওই পুলিশ সদস্য, কাশিয়ানী উপজেলার জোতকুরা গ্রামের আজাহার মোল্লার ছেলে। সে মাদারীপুর পুলিশ লাইন্সে পুলিশের কনস্টবল হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, কাশিয়ানীর জোতকুরা গ্রামের আজাহার মোলার ছেলে জসিম মোল্যা, ছয়জুদ্দিন মোল্লার ছেলে আজাহার মোল্লা ও সদর উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামের শহীদ মোল্লার ছেলে সোহেল মোল্লা।

মামলার বিবরণে জানাগেছে, ২০১৫ সালে বাদী সাইমা আক্তার সীমার বড় ভাইয়ের কাছ থেকে চাকরির কথা বলে ৩ লক্ষ টাকা নেয়। পরে ওই বছরেই পুলিশে চাকরি হওয়ার পর ট্রেইনিংয়ে যাওয়ার আগে শরিহা কাবিনমূলে বাদী সাইমা আক্তার সীমাকে বিয়ে করেন। পরের বছর বাদী ওই পুলিশ সদস্যকে কাবিনের জন্য চাপ দিলে বাদীর কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেন। বাদী যৌতুক দিতে রাজি না হলে ওই পুলিশ সদস্য শরিহামূলে বিয়ের কথা অস্বীকার করে। এ ঘটনায় বাদী ২০১৭ সালের ৬ জুলাই বাদী গোপালগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে মামলা দায়ের করেন।

পরে ২০২০ সালে মামলার ভয়ে বাদীকে ঘরে তোলার প্রলোভন দেখিয়ে বাদীর কাছে আবারো দশ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুক না হলে বাদীকে ঘরে তুলবে না বলে জানিয়ে দেন ওই পুলিশ সদস্য।

পরে গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কাশিয়ানী থানাকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে ৪ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত পুলিশ সদস্য জুয়েল মোল্লাকে এক বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন ও তিনজকে খালাস দেন।

মামলার বাদী সাইমা আক্তার সীমা বলেন, আমার সাথে প্রথমে প্রতারণা করে ৩ লাখ টাকা নেয়। পরে আমাকে শরাহ মূলে বিয়ে করে। পরে সে অস্বীকার করলে আমি আদালতে মামলা দায়ের করি। পরে আমাকে বাড়িতে নিবে বলে আবার আমার কাছে দশ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। পরে মামলাটি আদলত আমলে নিয়ে বিচারকার্য শুরু করে। আজ আসামীকে এক বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত। আমি এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি।

বাদীপক্ষের আইনজীবি ফজলুল হক খান খোকন বলেন, ওই পুলিশ সদস্য প্রত্যেক বিষয়ে প্রতারনা করছে। ১ বছর সাজা কম হলেও দৃষ্টান্ত হয়েছে। কারন সাজা না হলে অন্য আসামীরা এ কাজে উৎসাহিত হবে। আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি। আমরা এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Advertise

Ads

Address

Office : Sheikh Fazlul Haque Moni Stadium (2nd floor), Gopalganj-8100 Mobile: 01712235167, Email: kalerkhabor24.com@gmail.com
© All rights reserved 2022

Design & Developed By: JM IT SOLUTION