কোটালীপাড়া প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ৬বছরের একটি শিশুকে আম দেয়ার লোভ দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে সুজন পাইক (২০) নামে এক যুবকের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার পূর্বপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেপ্তারকৃত সুজন পাইক উপজেলার পূর্বপাড়া গ্রামের জামাল পাইকের ছেলে।
এর আগে শনিবার বিকেলে ধর্ষনের শিকার ওই শিশুটির পিতা কোটালীপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা সুত্রে জানাগেছে, (১২ মে) আম পেড়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে সুজন পাইক ওই শিশুটিকে চিত্রাপাড়া গ্রামের শামীম শেখের পোল্ট্রি ফার্মে নিয়ে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনা ওই শিশুটি বাড়ি ফিরে তার মাকে জানালে তিনি সুজন পাইকের মামা শামীম শেখকে জানায়। এরপর সুজন পাইকের মামা শামীম শেখ ও তার আত্মীয় স্বজনের বাঁধার মুখে ওই শিশুটির পরিবার থানায় অভিযোগ করতে পারেনি। এমনকি অসুস্থ্য ওই শিশুটির পরিবারের লোকজন তাকে চিকিৎসা করাতে হাসপাতাল বা ডাক্তারের কাছে নিতে পারেনি।
শিশুটির পিতা অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, আমি আমার জীবিকার প্রয়োজনে ঢাকায় থাকি। আমার স্ত্রী ২কন্যা শিশুকে নিয়ে ওয়াবদার হাটের পশ্চিম পাশে সরওয়ার শেখের বাড়িতে ভাড়া থাকে। কয়েকদিন আগে পূর্বপাড়া গ্রামের জামাল পাইকের ছেলে সুজন পাইক আমার ৬বছরের শিশু কন্যাকে আম পেড়ে দেওয়ার কথা বলে তার মামা শামীম শেখের পোল্ট্রি ফার্মে নিয়ে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে আমি বাড়িতে চলে আসি। বাড়িতে না থাকার কারণে আমার অসুস্থ শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে দেরী হয়। সুজন পাইকের আত্মীয় স্বজন আমাকে মামলা করতে বাঁধা দিয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, শুক্রবার (২জুন) আমার কন্যা শিশুটি বেশী অসুস্থ হয়ে পড়লে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এনে ভর্তি করি। এখানে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। এ ঘটনায় শনিবার (৩জুন) আমি বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করি।
এ বিষয়ে সুজন পাইকের বাবা জামাল পাইকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ধর্ষণের ঘটনাটি সালিসের মাধ্যমে মিমাংসা হয়েছে বলে জানায়।
কোটালীপাড়া থানার এসআই মাসুম লাভলু বলেন, কন্যা শিশুটির পিতার মামলা দায়েরের পরে অভিযুক্ত যুবক সুজন পাইককে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে শিশুটির ডাক্তারী পরীক্ষা করানো হয়েছে। কিন্তু রিপোর্ট এখনো হাতে পাইনি। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply