টুঙ্গিপাড়া প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পাইপ লাইনে পানি সরবরাহ না পেয়ে কুশলী ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন সরদারকে জুতা পেটা করার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ওই ইউপি চেয়ারম্যান মঙ্গলবার (২ মে) সকালে টুঙ্গিপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। তিনি কুশলী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও ওই ইউনিয়নের খালেক বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ৩ মাস কুশলী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরবরাহকৃত সুপেয় পানি ঠিকমতো পাচ্ছিলো না ৬,৭ ও ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা । অথচ পানির বিল বাবদ প্রতি মাসে রশিদের মাধ্যমে ৫০০ টাকা করে ওই সব বাসিন্দাদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছিল । ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন সরদারকে এলাকাবাসী ও অভিযুক্ত কামরুল একাধিকবার জানালেও কোন সমাধান হয়নি। পরে গত রোববার (৩০ এপ্রিল) পানি সরবরাহ নিয়ে সন্ধ্যায় খালেক বাজারে ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেনের সাথে বাকবিতন্ডা হয় কামরুল ইসলামের। একপর্যায় পায়ের জুতা খুলে ইউপি চেয়ারম্যানকে মারতে শুরু করেন কামরুল। তখন স্থানীয়রা মারামারি ঠেকিয়ে দিলে ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বাড়ি চলে যান।
অভিযুক্ত কামরুল ইসলামের স্ত্রী লাইজু বেগম বলেন, চেয়ারম্যানকে জুতা পেটা করা হয়নি। গত তিন মাস ধরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পাইপ লাইনে মাধ্যমে সরবরাহকৃত পানি আমরা পাচ্ছি না । চেয়ারম্যানের সাথে এই নিয়ে কামরুলের বাকবিতন্ডা হয়েছে। আর এঘটনার পর গত সোমবার সন্ধ্যায় চেয়ারম্যানের ভাই জাহাঙ্গীর সর্দারের ছেলে হৃদয় সহ ১০/১৫ জন লোক আমাদের দোকানের সামনে থাকা কয়েকটি ব্যানার ফেস্টুন ভাংচুর করে। এছাড়া আমার স্বামী ও আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
এবিষয়ে কুশলী ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন সর্দার দোকানের ব্যানার ভাংচুরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, রবিবার সন্ধ্যায় আমি গাড়ি থেকে নেমে এক আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে কথা বলছিলাম। হঠাৎ কামরুল জুতা দিয়ে আমার পিছনে আঘাত করে চলে যায়। পরে আমিও বাড়ি চলে আসি। এছাড়া আমার লোকজনকে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটানোর নির্দেশ দিয়েছি। তারা নিজেদের দোষ ঢাকতে বিভিন্ন রকম কিচ্ছা কাহিনী রটাচ্ছে। তবে পানির সরবরাহ মিটারে সমস্যা হয়েছে। ৩ লক্ষ টাকা দিয়ে নতুন মিটার কেনা হয়েছে । এখন পানি সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। এ ঘটনায় আমি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
টুঙ্গিপাড়া থানার পরিদর্শক (ওসি) এসএম কামরুজ্জামান বলেন, এঘটনায় চেয়ারম্যান গতকাল মঙ্গলবার সকালে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত কামরুল ইসলামকে আটকের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply