শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কোটালীপাড়ায় ভ্যানচালক ও পথচারীদের মাঝে কম্বল বিতরণ গোপালগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ। লোকলজ্জায় আত্মহত্যা। ধর্ষক মাদ্রাসা শিক্ষক ও সহযোগি শিক্ষিকা গ্রেপ্তার গোপালগঞ্জে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের জন্য রক্ত সংগ্রহ মুকসুদপুরে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যার মূলহোতা রাসেল শেখকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব মুকসুদপুরে মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ, শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা মাদক ব্যবসায়ী আটকের ঘটনায় টুঙ্গিপাড়ায় দুই গ্রাম পুলিশকে পেটালো বিএনপি নেতা গোপালগঞ্জে গরু চোরদের পিকআপ ভ্যানে আগুন প্রতিবন্ধী দিবসে গোপালগঞ্জে ১৩ প্রতিবন্ধী পেল হুইল চেয়ারসহ উপকরণ গোপালগঞ্জে সাংবাদিক সেজে চাঁদাবাজি | দুই ব্যক্তি আটক টুঙ্গিপাড়ায় অভিযান চালিয়ে ৬০ কেজি জাটকা জব্দ। এতিমখানায় বিতরণ

গোপালগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ। লোকলজ্জায় আত্মহত্যা। ধর্ষক মাদ্রাসা শিক্ষক ও সহযোগি শিক্ষিকা গ্রেপ্তার

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৫.১২ পিএম
  • ৩৪ Time View

মুকসুদপুর প্রতিনিধিঃ

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বামনডাঙ্গা আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান শিকদারের (৫১) বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার আটদিন পর লোকলজ্জার ভয়ে ওই শিক্ষার্থী গত বৃহস্পতিবার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় আজ শুক্রবার সকালে মৃতের মা বেবী বেগম বাদী হয়ে শিক্ষক মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান শিকদার (৫১) ও সহযোগি শিক্ষিকা খাদিজা বেগমকে (৩০) আসামী করে এ মামলা দায়ের করেন।

ধর্ষনের অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান ও তার সহযোগি আরেক নারী শিক্ষক খাদিজা বেগম এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে । ওই ছাত্রী মুকসুদপুরের বামনডাঙ্গা আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা হাফেজিয়া মাদ্রাসার পঞ্চম জামাতের শিক্ষার্থী ও মুকসুদপুরের বামনডাঙ্গা গ্রামের প্রবাসী কামরুল শেখের মেয়ে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার(০৪ ডিসেম্বর)স্থানীয় এলাকাবাসী শিক্ষক মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান শিকদারকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। এরপর থেকে ওই শিক্ষক পুলিশ পাহারায় মাদারীপুরের রাজৈর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।পরে আজ শুক্রবার তাকে মুকসুদপুর থানায় জিঞ্জাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মামলা দায়েরের পর আজ শুক্রবার সকালে পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষিকা খাদিজা বেগমকে গ্রেপ্তার করে।

অভিযুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান শিকদার বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার বারাশিয়া গ্রামের আব্দুল হামিদ শিকদারের ছেলে ও খাদিজা বেগম জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বামনডাঙ্গা গ্রামের ফজলু খালাসীর মেয়ে।

নিহতের বড় বোন সাদিয়া আক্তার বলেন, শিক্ষিকা খাদিজা বেগম আমার বোনকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় মাদ্রাসার ছাত্রীদেও বড়ি পাঠিয়ে আমার বোনকে ডেকে পাঠাতো। সে যেতে না চাইলে ওই শিক্ষিকা ফোন দিয়ে ওই  শিক্ষককে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতো। তাদের কথা না শুনলে ধারণ করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হবে বলে ভয় দেখানো হতো। এসব কারণেই আমার বোন আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। আমি এঘটনায় জড়িতদের ফাঁসি চাই।

ওই শিক্ষার্থীর মা বেবী বেগম জানান, গত ২৬ নভেম্বর শিক্ষক মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান মাদ্রাসা ছুটির পর আমার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আর এই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ ও ধর্ষণে সহযোগিতা করে শিক্ষিকা খাদিজা বেগম। ঘটনার পর আমার মেয়ে বাড়ীতে এসে বিষয়টি আমাদের জানায়। এরপর থেকে আমার মেয়ে মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দেয়। লোকলজ্জায় আমরা বিষয়টি চেপে যাওয়ার চেষ্টা করি।কিন্তু,ওই শিক্ষক তার সহযোগি শিক্ষিকার মাধ্যমে মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।একারণে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।

মুকসুদপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষিকাকে আসামী করে ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত দুই আসামীকেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Advertise

Ads

Address

Office : Sheikh Fazlul Haque Moni Stadium (2nd floor), Gopalganj-8100 Mobile: 01712235167, Email: kalerkhabor24.com@gmail.com
© All rights reserved 2022

Design & Developed By: JM IT SOLUTION