কালের খবরঃ
গোপালগঞ্জে বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দল এবং স্থানীয় জনতার মধ্যে সংঘর্ষে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত হোসেন দিদার নিহত হয়েছেন। এতে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও তাঁর স্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওশন আরা রত্না এবং সময় টিভির ক্যামেরাপার্সন এইচ এম মানিকসহ অন্তত ৩০জন আহত হয়েছে। এসময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ও দোকান ভাংচুর করা হয়।মারাত্মক আহতদের মধ্যে ১৬ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, ৩ জনকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা হাসপাতালে ও ৩ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকী আহতদের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
তবে বিএনপির দাবী স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা এ হামলা চালিয়ে হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। তবে এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।আজ শুক্রবার (১৩ সেপ্টম্বর) সন্ধ্যায় জেলা শহরের বেদগ্রাম মোড়ে জেলা বিএনপি আয়োজিত পথসভা শেষ করে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস. এম, জিলানীর বাড়ী টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার পথে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়সূত্রে জানাগেছে, আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের বেদগ্রাম মোড়ে পথসভা শেষ করে গাড়ি বহর নিয়ে টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ কর্মীরা। এসময় তাদের গাড়ী বহর সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া মোড়ে পৌছালে আওয়ামী লীগের ব্যানার ফেস্টুন ছেড়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জনগনের সাথে বিবাদে জড়ায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এত কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও তার স্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওশন আরা রত্নাসহ ৩০ জন আহত হন। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ও দোকানপাট ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ভিডিও ধারন করতে গেলে সময় টিভির ক্যামেরা পার্সন এইচ এম মানিক আহত হয়।
সংঘর্ষের ৩ ঘন্টা পর ঘোনাপাড়া থেকে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত হোসেন দিদারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহ গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। মরদেহ হাসপাতালে আনার পর জেলা বিএনপির আহবায়ক শরীফ রফিকুজ্জামানসহ বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা সেখানে যান।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনিচুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত হোসেন দিদার নিহত হয়েছেন। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস.এম জিলানীকে উন্নত চিকিতসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply