কালের খবরঃ
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবল আলম বলেছেন, জেলার যেসব সরকারী সম্পত্তি অবৈধ দখলদাররা দখলে রেখে ভোগদখল করে আসছে, সেসব সরকারী সম্পত্তি দখলমুক্ত করা হবে এবং দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এরসাথে যদি কোন সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এবং এ উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, সারা জেলায় যতগুলো স্থাপনা আছে, খাসজমি আছে, সরকারি জমি, খাল,সেগুলোর উপর অবৈধ দোকানপাট, বাধ দিয়ে খালের পানি প্রবাহ অবরুদ্ধ করে রাখছে সেগুলো আমরা অপসারণ করবো। ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ সদস্যদের নিয়ে আমরা যৌথভাবে এ অভিযানগুলো করবো। অভিযোগের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এসব অবৈধ স্থাপনা অপসারন করা হবে। প্রথম ২৪ ঘন্টার মধ্যে তদন্ত শেষ হবে। পরবর্তি ২৪ ঘন্টায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হবে। এসব কাজে ইউনিয়ন পর্যায়ে যেসব তহশিলদার আছে তাদের কর্তব্যে যদি কোন অবহেলা থাকে বা দখলে সহায়তা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতো মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার ( ৩০ এপ্রিল) দুপুরে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি ইউনিয়নের আড়কান্দি বাজারে ও সিংগা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা কালে এসব কথা বলেন তিনি। এদিন জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম-এর নেতৃতে আড়কান্দি বাজারে রাস্তার পাশে সরকারী প্রায় ১৫ শতাংশ জায়গা দখল মুক্ত, সেখানে গড়ে ওঠা বেশ কয়েকটি দোকান-ঘর ও নির্মাণাধীন দোকানের পিলার বুলড্রেজার দিয়ে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়।
এছাড়া একই উপজেলার সিংগা গ্রামে বিশ্বাস বাড়ির পাশে ব্রীজের তলদেশে খালের মধ্যে মাটি ভরাট করে দখল করা এবং খালের জায়গা ভরাট করে দখলের চেষ্টা বন্ধ করা হয়।এসব অবৈধ দখল উচ্ছেদকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)ফারহানা জাহান উপমা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস.এম রেফাত জামিলসহ সরকারী অন্যান্য কর্মকর্তা, পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply