মুকসুদপুর প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে ভালবেসে বিয়ে করার ৪৯ দিন পর কলেজ ছাত্রী শান্তা ইসলাম (২২) এর মৃত্যু নিয়ে ধ্রুমজালের সৃষ্টি হয়েছে। এটা কি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিয়ে নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (১৯ এপ্রিল) রাতে মুকসুদপুর উপজেলার ভাকুড়ী গ্রামে। এ ঘটনায় মৃতের বাবা মোঃ ওহিদ ফকির বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, মুকসুদপুর উপজেলার ভাকুড়ী গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে রিয়াজুল ইসলামের সাথে একই উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মোঃ ওহিদ ফকিরের মেয়ে শান্তা ইসলামের সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয় অষ্টম শ্রেনীতে পড়ার সময়। দীর্ঘ ৭ বছর প্রেমের পর চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারী পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। শান্তা ইসলাম সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজে অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্রী। ছেলে রিয়াজুল ইসলাম মাদারীপুর জেলার শিবচর পল্লী বিদ্যুতে চাকরী করেন।
বিয়ের পর থেকে শান্তা শ্বশুর বাড়ীতে বসবাস করে আসছিল। গত বুধবার (১৯ এপ্রিল) রিয়াজুল ছুটিতে বাড়ীতে আসেন। গতকাল ইফতারী করার পর শান্তা গলায় ফাঁস দেয় বলে শান্তার স্বামী রিয়াজুল তার শ্বশুর বাড়ীর লোকজনদের কাছে মুঠো ফোনে জানায়।
শান্তাকে উদ্ধার করে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে মুকসুদপুর থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
পরিবারের অভিযোগ শান্তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাচ্ছে শ্বশুড়বাড়ীর লোকজন।
এব্যাপারে শান্তার স্বামী রিয়াজুল ইসলামের মুঠোফোনে (০১৭৬২-১৯১৪৩০) ফোন করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুকসুদপুর থানার এস.আই সজিব জনান, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে বুঝা যাবে এটা কি আত্মহত্যা না হত্যা এবং সে অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply