কালের খবরঃ
মঙ্গল শোভাযাত্রা, আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে গোপালগঞ্জের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে বাংলা নববর্ষকে বরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকালে বঙ্গমাতা চক্ষু হাসাপাতালে জাতীয় সংগীতের মধ্যে দিয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে এসো হে বৈশাখ এসো এসো …… গান পরিবেশন করে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া হয়। এরপর সমবেত কন্ঠে পঞ্চকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রজনীকান্ত সেন ও অতুল প্রসাদ সেনের গান গেয়ে ও কবিতা আবৃত্তি করে প্রভাতী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। এছাড়া একক কন্ঠে শিল্পীরা লালন গীতি সহ জনপ্রিয় সব বাংলাগান পরিবেশন করেন। সেই সঙ্গে ছিল নৃত্য পরিবেশনা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ফাঁকে বঙ্গমাতা চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. নাহিদ ফেরদৌসীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আবুল কাশেম মোঃ আনওয়ারুল রউফ , সহকারী পরিচালক মোঃ আবুল কালাম আজাদ, স্টোর অফিসার দিপক সরকার সহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
পরে হাসপাতাল চত্বরে বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন বঙ্গমাতা চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. নাহিদ ফেরদৌসী।ঢাক-ঢোল বাজিয়ে নেচে-গেয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মঙ্গলশোভায় অংশ নিয়ে উদ্বেলিত হয়ে ওঠেন। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি বঙ্গমাতা চক্ষু হাসপাতাল চত্ত্বর পরিদর্শন করে।বর্ষবরণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বঙ্গমাতা চক্ষু হাসপাতালটি নবরূপে সাজানো হয়। চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বাঙ্গালী সাজে সেজে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।ফলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানটি উৎসব মুখর হয়ে ওঠে।
বঙ্গমাতা চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. নাহিদ ফেরদৌসী বলেন, এই বছরই প্রথম এই হাসপাতালে উৎসব মুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ বরণ করে নেওয়া হয়েছে। প্রাণের এই উৎসব এখানে বর্ণিল হয়ে ওঠে। এর মধ্য দিয়ে আমরা এখানে শুদ্ধ সংস্কৃতির চর্চার চেষ্টা করছি। ভবিষ্যতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে। হাসপাতালটি চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা প্রদান ও শুদ্ধ সাংস্কৃতি চর্চার মধ্যে দিয়ে অনন্য প্রতিষ্ঠানে পরিনত হবে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply