
কালের খবরঃ
গোপালগঞ্জ-২ আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী এম সিরাজুল ইসলাম সিরাজ । বর্তমানে তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যাপকভাবে জনগনের সাথে সম্পৃক্ত। প্রায় সাড়ে চার দশক ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত এই নেতা। সিরাজুল ইসলাম, গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দলের কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পেশায় একজন ব্যবসায়ী এবং সমাজসেবক হিসেবে তার রাজনৈতিক জীবন ও জনসেবামূলক কর্মকাণ্ডে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ফুটে উঠেছে। মানুষের কাছে তিনি সৎ ও ভদ্র আচরনের রাজনীতিবিদ হিসেবে সমাদৃত।
পেশা এবং রাজনীতিতে পদচারণাঃ
এম সিরাজুল ইসলাম সিরাজ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার হরিদাসপুর ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ডাঃ সামছুল হক। শহরতলীর আড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে তিনি গোপালগঞ্জ শহরের এস এম মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এসএসসি শেষ করে পরবর্তীতে খুলনার দৌলতপুর কলেজে এইচএসসি –তে ভর্তি হন। সেখানে ছাত্রদল থেকে ১৯৮১ সালে কলেজ সংসদে জিএস নির্বাচন করেন। এইচ এস সি শেষ করে ঢাকার তিতুমির কলেজে আনার্সে ভর্তি হন। ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত তিনি তিতুমির কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিতুমির কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেন।
সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন,১৯৯০ সালে তিনি ঢাকার সিটি কমিটির স্বেচ্ছাসেবক দলের কনভেনারের দায়িত্ব পান এবং ২০০১ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত গুলশান থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি এবং ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সালে তিনি গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন| এর পর থেকে তিনি দলকে সুসংগঠিত এবং নেতাকর্মীদের সক্রিয় করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ করে চলছেন। আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলে শত প্রতিকুলতার মাঝেও তিনি কেন্দ্র ঘোষিত দলের সকল কর্মসূচী পালনে করেছেন। সিরাজুল ইসলাম সিরাজ গোপালগঞ্জ-২ আসন থেকে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তিতে তিনি আরো দুইবার দলীয় মনোনয়নে নির্বাচন করেছেন। এবারও তিনি
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী।
নির্বাচনী অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতিঃ
আমি গোপালগঞ্জে নেতা হতে আসিনি, আমি এসেছি জনগণের সেবক হয়ে। এমন উদ্ধৃতি উল্লেখ করে এম. সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, গোপালগঞ্জে আমার আসার একটাই উদ্দেশ্য, সেটা কখনোই ব্যক্তিগত লাভ বা সম্মান অর্জনের জন্য নয়। বরং জনগণের সেবক হয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানো। আমি জানি, গোপালগঞ্জের জনগণের প্রত্যাশা অনেক, এবং তাদের সেবা করা একটি বড় দায়িত্ব। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং তরুণ নেতৃত্বের অঙ্গিকার তারেক রহমানের নির্দেশ মোতাবেক জনগণের পাশে থেকে কাজ করে যাব।
তাই নেতৃত্ব নয়, জনগণের সাথে মিশে তাদের সমস্যাগুলোর সমাধান করা, তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা আমার মূল লক্ষ্য। আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে, এই জেলার উন্নয়নকে আমরা একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছে নিতে পারব।
আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু থেকেই একটাই শপথ, রাজনীতি জনগণের জন্য হতে হবে, না হলে তা শুধুই ব্যক্তিস্বার্থে পরিণত হবে। আমি চাই না, আমার নেতৃত্বের কারণে কেউ কষ্ট পাক বা তার অধিকার থেকে বঞ্চিত হোক।
এ অঞ্চলের মানুষরা যে কঠোর পরিশ্রমী, তাদের জীবনযাত্রার উন্নয়ন ও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর জন্য কাজ করতে হবে। আমার তরফ থেকে সবচেয়ে বড় অঙ্গীকার হলো, প্রতিটি মানুষ যেন সমান সুযোগ পায় এবং তাদের প্রতি কোনো ধরনের বৈষম্য না ঘটে।
এখানে কোনো বড় বড় প্রতিশ্রুতি দেওয়ার প্রয়োজন নেই, বরং আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ হতে হবে জনগণের কল্যাণে নিবেদিত। আমি আসলে আপনাদের সেবক হতে চাই, একজন নেতা নয়। জনগণ যখন বুঝতে পারবে যে আমরা তাদের পাশে আছি, তখনই তারা আমাদের প্রকৃত সেবক হিসেবে গ্রহণ করবে।
আমাদের এই আন্দোলন শুধু রাজনৈতিক নয়, এটি একটি সামাজিক মিশন, যেখানে আমরা সবসময় জনগণের পাশে দাঁড়াবো, তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব পালন করব। আমাদের সবার সহযোগিতায় গোপালগঞ্জ আরও সুন্দর এবং উন্নত হবে।
এছাড়া তিনি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে গোপালগঞ্জ-২ আসনকে দুর্নীতিমুক্ত ও প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য দৃঢ়ভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
মানবিক কর্মকাণ্ডঃ
এম সিরজুল ইসলাম সিরাজ বলেন,অনেকে রাজনীতিকে ব্যবসা হিসেবে দেখেন। তারা এটিকে একটি ইনভেস্টমেন্ট হিসেবে নিয়ে, যখন দল ক্ষমতায় আসে বা সরকার গঠন করে, তখন ফুলে ফেঁপে উঠেন। তারা রাজনীতিকে এক ধরনের আয়ের পথ এবং ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিণত করেন। কিন্তু আমি রাজনীতিতে এসেছি মানুষের সেবা করার জন্য, সমাজের উন্নয়নের জন্য, এবং গরীব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য। আমি বিশ্বাস করি, রাজনীতি হতে পারে এক অনন্য মাধ্যম, যার মাধ্যমে আমরা সমাজের সর্বস্তরের মানুষের জন্য পরিবর্তন আনতে পারি।
আমাদের সমাজে বহু দরিদ্র পরিবার রয়েছে, যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেও কোনোভাবে উন্নতি করতে পারেন না। বহু ছেলে-মেয়ে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে, কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের সুযোগ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। তাদের জন্য কাজ করার সংকল্প নিয়েই আমি রাজনীতিতে এসেছি, যাতে তাদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারি এবং তাদের জীবনে একটি নতুন আলোর সূচনা ঘটাতে পারি।
এতো বড় মহৎ কাজ আমার একার পক্ষ থেকে সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন বৃহৎ পরিকল্পনা ও সরকারের সহায়তা। তাই আমি রাজনীতি ব্যবহারের মাধ্যমে এই কাজগুলো বাস্তবায়ন করার লক্ষ্য নিয়েছি। ইতোমধ্যে আমি নিজস্ব অর্থায়নে গোপালগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ ও মন্দির নির্মাণে সহায়তা করেছি, এবং দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি প্রদান করে আসছি।
তিনি বলেন,করোনা মহামারী চলাকালে, যখন সারা দেশ বিপর্যস্ত, আমি জনগণের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। অক্সিজেন সিলিন্ডার, মাস্ক এবং খাদ্য সহায়তা দিয়ে সহায়তা করেছি। পাশাপাশি, ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবের মাধ্যমে, এই দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমি সমাজের দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের বিবাহের জন্যও যথাসাধ্য সহায়তা করার চেষ্টা করছি, যাতে তারা স্বাবলম্বী হতে পারে।
রাজনীতি আমার জন্য শুধুমাত্র একটি ক্ষমতা অর্জন করার পথ নয়, বরং জনগণের সেবা ও সমাজের উন্নতির একটি সুযোগ। আমি আশা করি, জনগণ আমাকে এই সুযোগ দিবেন এবং আমি তাদের আশা পূর্ণ করতে পারব।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়নঃ
সিরাজুল ইসলাম সিরাজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের জন্য উদ্যোগী হবেন।
বেকারত্ব ও কর্মসংস্থানঃ
তিনি শিক্ষিত বেকার যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ এবং দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
দুর্নীতি ও প্রভাবমুক্ত সমাজ গড়তে গোপালগঞ্জ-২ আসনকে দুর্নীতিমুক্ত এবং প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবেন।
নির্বাচনী প্রচারণা ও প্রতিশ্রুতিঃ
বর্তমানে এম সিরাজুল ইসলাম সিরাজ গোপালগঞ্জ-২ আসনের জনগণের মধ্যে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি গ্রামের জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছেন এবং তাদের সমস্যার সমাধানে বিশ্বাসযোগ্য সমাধান প্রদান করছেন। সিরাজ জানান, “আমার লড়াই একান্তভাবে জনগণের জন্য। আমি জনগণের দুঃখ-কষ্টে পাশে আছি এবং ভবিষ্যতে এই আসনকে উন্নয়ন ও সুশাসনের পথে নিয়ে যাবো।
নেতাকর্মীদের আশার আলোঃ
গোপালগঞ্জ-২ আসনের বিএনপি সমর্থিত জনগণ মনে করেন, সিরাজুল ইসলাম সিরাজের মতো সৎ, শিক্ষিত, অভিজ্ঞ ও সাহসী নেতা এই আসনে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অব্যবস্থাপনাকে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসবেন। তাঁর নেতৃত্বে গোপালগঞ্জ-২ আসন একটি উন্নত, স্বচ্ছ এবং কর্মসংস্থানে সমৃদ্ধ সমাজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
এম সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, প্রার্থী হিসেবে আমার নির্বাচনী অঙ্গীকার এবং কার্যক্রম, স্থানীয় জনগণের জন্য এক নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। আমি বিশ্বাস করি সৎ, শিক্ষিত এবং অভিজ্ঞ নেতৃত্বের মাধ্যমে গোপালগঞ্জ-২ আসনে সামগ্রিক উন্নয়ন ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। এক্ষেত্রে দুর্নীতিমুক্ত, প্রভাবমুক্ত এবং উন্নত গোপালগঞ্জ গড়ার জন্য আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।বিজ্ঞপ্তী
Design & Developed By: JM IT SOLUTION