মুকসুদপুর প্রতিনিধিঃ
গোপালগেঞ্জর মুকসুদপুরে অগ্নিকান্ডে ৬টি দোকান ভষ্মিভূত হয়েছে । এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা দাবী করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) ভোর রাতে মুকসুদপুর উপজেলার গেড়াখোলা বাজারে বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাতে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ফায়ার সার্ভিসের ধারনা। তারা প্রায় ১ ঘন্টা চেষ্টার পরে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। এসময় নিজ দোকানের মালামাল নিরাপদ স্থানে নিতে গিয়ে বাবলু লষ্কর (৫৫) নামে এক মুদি দোকানদার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছে। মুকসুদপুর ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন মাষ্টার মজিবুর রহমান জানান, রাত তিনটার দিকে অগ্নিকান্ডের সংবাদ পেয়ে প্রায় এক ঘন্টার চেষ্টার পরে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হই। প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় ধারনা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অগ্নিকান্ডের সঠিক কারন জানাযাবে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, রাত ৩ টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন ছড়িয়ে পড়লে বাজারের ষ্টুডিও দোকানে ঘুমিয়ে থাকা অনিক মজুমদার বের হয়ে চিৎকার দিলে চার দিকের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে প্রায় ১ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এসময় বাবলু লস্করের মুদি দোকান, গৌতম মজুমদারের স্টুডিও, বশিষ্ট চক্রবতীর কাপড়ের দোকান, সাদ্দাম মিয়ার কম্পিউটারের দোকান, বাবুল মোল্লার কসমেটিক্সের দোকান, গোপিনাথের মুদি দোকান পুড়ে ভষ্মিভূত হয়।
বাজারের ব্যবসায়ি হাসান লস্কর জানান, অগ্নিকান্ডের খবর শুনে সবাই আগুন নিভাতে আসে। এই সময় মুদি দোকানদার বাবলু লস্কর তার মালামাল নিরাপদ স্থানে নেয়ার চেষ্টা করেন। একাধিকবার আগুনের মধ্য থেকে মালামাল নেওয়ার পরে পা পিছলে আগুনের মধ্যে পড়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে আগুন থেকে উদ্ধার করে মুকসুদপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যপারে মুকসুদপুর উপজেলা পরিবাবর পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার রায়হান ইসলাম শোভন জানান, বাবুলকে মৃত্যু অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে৷ তার শরীরের কোথাও আগুনে পোড়ার চিহ্ন পাওয়া যায়নি৷ ধারনা করো হচ্ছে তিনি ষ্ট্রোক করে মারা গেছেন৷
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply