বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৫২ পূর্বাহ্ন

গোপালগঞ্জের তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৮.০০ পিএম
  • ২৮৭ Time View

কালের খবরঃ

তীব্র তাপদাহে গোপালগঞ্জে বিপযর্স্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন থেকে প্রাণীকুল। গত একসপ্তাহ ধরে জেলায় চলছে এমন তাপদাহ। ইতিমধ্যে জেলায় এই প্রথম সর্বোচ্চ তাপমাত্র রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মাঝারিথেকে তীব্র তাপদাগে পডিরনত হয়েছে বলে গোপালগঞ্জ আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। প্রচন্ড রোদের কারনে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না  মানুষ। শ্রমিক, দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষবের হলেও কাজ করতে পারছে না। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে অভাব অনটনে পড়েছেন শ্রমজীবীরা। আবহাওয়া অফিস বলছে এমন তাপদাহ চলবে পুরো এপ্রিল মাস জুড়ে। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে বেশী বেশী পানিপান করতে হবে। আর বাইরে বের হলে ছাতা আর পানি সাথে রাখতে হবে।

সকালে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে তীব্র রোদ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ রোদ যেন আগুনের ফুলকি হয়ে ঝরছে জেলাবাসীর উপর। বিশেষ করে দুপুরের পর আগুন ঝরা রোদের তেজে বাইরে বের হওয়া মুশকিল হয়ে পড়ছে। ফলে গত কয়েকদিন ধরে জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে এমন তীব্র তাপদাহ। এর ফলে গরমে মানুষের পাশাপশি হাঁসফাঁস করছে প্রাণীকুলও। চলমান তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে রিকশা-ভ্যানচালকসহ খেটে খাওয়া দিনমজুরেরা। একবার ভাড়া খাটার পর গাছের ছায়ায় আধঘন্টা বিশ্রাম নিতে হচ্ছে তাদের। আর নদী, খাল বা জলাশয়ে নেমে তাপ থেকে বাঁচার চেষ্ঠা করছে প্রাণীকূল। আবার অনেকেই পিপাসা মেটাতে ছুটছে ডাব বা রাস্তার পাশে বসা শরবতের দোকানে। এক গ্লাস শরবত পান করে শান্তির ঢেকুর তুলছেন তারা। তবে বৃষ্টিপাত না হওয়া পর্যন্ত গরম থেকে রেহাই পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন জেলাবাসী।

গোপালগঞ্জ আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, ১২ এপ্রিল থেকে গোপালগঞ্জে ৩৬ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠা নামা করলেও  শনিবার (২০ এপ্রিল) জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  এটা গোপালগঞ্জের জন্য প্রথম সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। তবে বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকায় পুরো এপ্রিল মাস জুড়ে জেলায় তাপদাহ এভাবে চলবে ।   তাই প্রানীকূলের সকলকে রোদে কম বের হওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। আর একান্তইবের হতে হলে সাথে ছাতা বা পানি রাখা প্রয়োজন।

গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ নিয়াজ মোহাম্মদ, জানিয়েছেন, জরুরী প্রয়োজনে তীব্র গরমে বাইরে বের হলে ছাতা ব্যবহারসহ ঘন ঘন পানি পান কারতে হবে। শরীর থেকে বেশী ঘাম বের হলে পানি শুন্যতা দেখা দিবে। আর পানি শূন্যতা দেখা দিলে হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Advertise

Ads

Address

Office : Sheikh Fazlul Haque Moni Stadium (2nd floor), Gopalganj-8100 Mobile: 01712235167, Email: kalerkhabor24.com@gmail.com
© All rights reserved 2022

Design & Developed By: JM IT SOLUTION