কালরে খবরঃ
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গিমাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিক মোল্লা, উপজেলা সদরের বেলায়েত হোসেন শেখ,কোটালীপাড়া উপজেলার মোঃ জাফর হোসেন দাড়িয়ে, মুকসুদপুর উপজেলার বনগ্রামের আফসানা বেগম, কাশিয়ানী উপজেলার আমিন সিকদারের সাথে কথা হয় গোপালগঞ্জে শুরু হওয়া বিভিন্ন কালেক্টর বাজারে। তারা বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বোগতির বাজারে জেলা প্রশাসন ন্যায্যমূল্যে পন্য বিক্রি করতে বাজার বসিয়েছে। এই বাজারে এসে আমরা কমদামে জিনিসপত্র কিনতে পারছি। চাল, ডাল, চিনি, লবন,তেল,ছোলা, ডিম, আলু,পেয়াজ, রসুনসহ বিভিন্ন তরিতরকারি অন্যসব বাজেরর তুলনায় কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। এখানে কোন দামাদামি করা লাগে না। সরকার জিনিসপত্রের যে দাম নির্ধারন করে দিয়েছে সেই দামেই কিনছি। আবার অনেক জিনিসের দাম নির্ধারিত দামের থেকেও কম নিচ্ছে। এতে আমরা উপকার পাচ্ছি। এভাবে বাজার সদাই করতে পারলে আমাদের তেমন কোন কষ্ট হবেনা।
বৃহস্পতিবার ( ৪ এপ্রিল) গোপালগঞ্জের পাঁচটি উপজেলায় সরকার নির্ধারিত দামে পন্য বিক্রির লক্ষে একযোগে উদ্ধোন করা হয় “কালেক্টর বাজার।”গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম জেলা সদরসহ পাঁচটি উপজেলায় ছয়টি স্থানে কালেক্টর বাজারের উদ্বোধন করেন। এদিন সকালে প্রথম উদ্বোধন করেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গিমাডাঙ্গা গ্রামের বটতলায় কালেক্টর বাজার এবং অপরটি উপজেলা সদরের খান সাহেব শেখ মোশারফ হোসেন স্কুল এন্ড কলেজের পাশে । দুপুরে কোটালীপাড়া উপজেলার কিচেন মার্কেটে একটি দোকান, মুকসুদপুর উপজেলার বনগ্রাম বাজারে একটি, কাশিয়ানী উপজেলার থানা সংলগ্ন বাজার এলাকায় একটি। এরআগে জেলা সদরের লঞ্চঘাট এলাকায় কালেক্টর বাজার উদ্বোধন করা হয়।
এসব কালেক্টর বাজার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ন্যায্যমূল্যে পন্য কেনার জন্য রীতিমত ভীড় করছে নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ। তারা লাইনে দাড়িয়ে কম দামে পন্য কিনছে। অন্যসব বাজারের তুলনায় কম দামে পন্য কিনতে পেরে খুশি মনে বাড়ি ফিরছে। জেলা সদরে গোপালগঞ্জের বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মিরা একত্রিত হয়ে এবং উপজেলা গুলোতে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তত্বাবধানে জেলা প্রশাসনের সহাযোগীতায় এসব কালেক্টর বাজার পরিচালিত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, বিত্তবানরা আমাদের টার্গেট নয়। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ। তারা যাতে স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করতে পারে বা ভালো থাকতে পারে। আমরা সেই উদ্দেশ্য নিয়ে কালেক্টর বাজার শুরু করেছি। প্রতিটি উপজেলায় পাইলট হিসেবে দুইটি করে কালেক্টর বাজার স্থাপন করা হবে। আজ জেলার পাঁচটি উপজেলায় একযোগে কালেক্টর বাজার চালু করা হয়েছে। আমরা কয়েকমাস এটা পর্যবেক্ষণ করবো। ফলাফল ভালো হলে এই বাজারগুলোই স্থায়ীভাবে থেকে যাবে এবং প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে কালেক্টর বাজার বসানো হবে। এসব বাজার জেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক তদারকি করবে। আশাকরি কালেক্টর বাজারের মাধ্যমে জনগণ সুফল পাবে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply