কালের খবরঃ
ঢাকা- বরিশাল মহাসড়ক দিয়ে দ্রæত গতিতে যাচ্ছিল যাত্রীবাহী বাস ও যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস। দ্রæতগতির কারনে বাসের সামনের চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি রাস্তার পাশে গাছে সাথে ধাক্কা লাগায়। এসময় বিপরীত দিক থেকে যাচ্ছিল যাত্রীবাহী একটি মাইক্রোবাস। বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারানোর কারনে মাইক্রোবাসের সঙ্গে মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। ফলে একই পরিবারের চারজন ও মাইক্রোবাস চালক নিহত হয়। এ ঘটনায় আরো ৪জন আহত হয়েছে । বুধবার (২০ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা বরিশাল মহাসড়কের গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাঘদি ইউনিয়নের ডোমরাকান্দি নামক স্থানে এই মর্মান্তি দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতরা একই পরিবারের সদস্য বলে জানাগেছে।
নিহতরা হলেন, মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার গোপালপুর গ্রামের কাজী আবদুল হামিদের তিন মেয়ে কাজী সালমা আক্তার (৫৮), আছমা বেগম (৫৬) কাজী নাছিমা বেগম (৬২), ছেলে হুমায়ুন কাজীর স্ত্রী কোমল বেগম (৭৫) ও মাইক্রোবাস চালক আলমগীর হোসেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা বরিশাল মহাসড়কের উপজেলার রাঘদী ইউনিয়নের ডোমড়াকান্দি নামক স্থানে ঢাকা গামী গ্লোবাল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ও মাদারীপুরের কালকিনি গামী একটি যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় মাইক্রোবাসের সম্মুখভাগ দুমড়েমুচড়ে যায় । এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের ড্রাইভার ও ৪ নারী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এসময় কাজী আবদুল হামিদ ছেলে হুমায়ুন কাজী, মেয়ে নাজমা বেগম ও খায়রুল আলম কাজী গুরুতর আহত হন। আহত ৪ জনকে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে দুই জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা পাঠানো হয়েছে।
হতাহতদের মুকসুদপুর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ও স্থানীয়রা কর্মীরা উদ্ধার করে । মুকসুদপুর থানার ওসি মোঃ আশরাফুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, দুর্ঘটনার খবরশোনার পর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা উদ্ধার কাজ করে। আহতদেও চিবিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি খায়রুল আনাম জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পরপর সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধু হয়ে যায়। আমরা দ্রæত ঘটনাস্থলে পৌছে হতাহতদের উদ্ধার করি এবং একঘন্টার মধ্যে সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করি। পরে পরিবারের আবেদনের ভিত্তিত্বে লাশ স্বজনদেও কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সাবির্ক) শেখ জোবায়ের আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতদের পরিবার সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন এবং নিহতদেও দাফন কাফনের জন্য প্রতিজনকে ২৫ হাজার করে অনুদান ও আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply