কালের খবরঃ
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মেলবন্ধন সৃষ্টির লক্ষে গোপালগঞ্জে দুই দিনব্যাপী গঙ্গাঁ-পদ্মা আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা ও উৎসব অনুষ্ঠিত। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট এ প্রতিযোগীতা ও উৎসবের আয়োজন করেছে। এ প্রতিযোগীতায় বাংলাদেশ ও ভারতের প্রতিযোগীরা অংশ নিচ্ছেন। এমন আয়োজন করার দুই দেশের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলে মনে করছেন সংস্কৃতিকপ্রেমিরা। এ প্রতিযোগীতা ও উৎসব পরের দিন শনিবার শেষ হয়। আয়োজক সূত্রে জানাগেছে, কাঁটা তারের বেড়া দুই দেশকে বিভক্ত করলেও বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি একই সূত্রে গাঁথা। তাই দুই দেশের সংস্কৃতি চর্চা ও বন্ধন সুদৃঢ় করতে গোপালগঞ্জে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হচ্ছে গঙ্গাঁ-পদ্মা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীতা ও উৎসব।
শুক্রবার (০১ মার্চ) দুপুরে জেলা শিল্পকলা একডেমির হল রুমে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে এ প্রতিযোগীতার উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) শেখ জোবায়ের আহমেদ। প্রতিযোগীতায় বাংলাদেশ থেকে ৯০ জন ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২০ জন মোট ১১০ জন প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। প্রতিযোগীতায় শিল্পীরা নাচ, গান পরিবেশন করে তাদের প্রতিভা তুলে ধরেন।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নৃত্যমহল একাডেমির কর্ণধর সায়ন্তিকা দত্ত বলেন, ভারত বর্ষ থেকে আমি বাংলাদেশের গোপালগঞ্জে ছুটে এসেছি গঙ্গাঁ-পদ্মা উৎসব করতে। এটি এখন দুটি দেশের মধ্যে মিলন মেলা হয়েছে। আন্তরিকতা দুই দেশের মধ্যে সব সময় ছিল, এখন আমরা একটি মেলবন্ধন তৈরী কারার চেষ্টা করছি। এতে দুই দেশের শিল্পী সংস্থা আরো জাগ্রত হবে।
নৃত্য পরিচালক এম আর ওয়াসিক বলেন, দুই দেশের ভাষা, সাংস্কৃতি, খাদ্যাভ্যাস সবই একই। লালন, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল সবই এক আমাদের। বাংলাদেশ ও ভারতের শিল্পীরা অংশগ্রহন করায় দুই দেশের সংস্কৃতি যেমন এগিয়ে যাবে তেমনি সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবার পশাপাশি কাঁটা তারের দুরত্ব কমে আসবে।
গোপালগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারন সম্পাদক খোন্দকার এহিয়া খালেদ সাদী বলেন, আমরাও বাঙ্গালী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ তারও বাঙ্গালী। তাদের মধ্যে শিল্প সংস্কৃতি অনেক পুরানো। ভারত থেকে যদি কোন দল আসে বা আমাদের কোন দল ভারতে যায় তাহলে তারা আমাদের ভালোটা এবং আমরা তাদের ভালোটা গ্রহন করবো। এতে আমাদের সংস্কৃতি এগিয়ে যাবে।
আয়োজক সম্রাট হাজরা জানান, এ প্রতিযোগীতা বাংলাদেশ থেকে ৯০ জন ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২০ জন করে মোট ১১০ জন প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। এ জেলার শিল্পীরা যাতে ভারতের শিল্পীদের কাছ থেকে ভাল কিছু শিখে নিজেদের সংস্কৃতিকে এগিয়ে নেয়ার পাশাপশি বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে পারে সেজন্য এ প্রতিযোগীতা ও উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, এ আয়োজন শুধু সংস্কৃতি না দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। শুধু ব্যক্তি পর্যায়ে নয় এমন আয়োজনে সারকারী পৃষ্ঠপোষকতা থাকা প্রয়োজন। আগামীতেও এমন আয়োজন করা হবে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply