কালের খবরঃ
গোপালগঞ্জে জমির সীমানা বিরোধের জেরে মা-মেয়েকে কাতরা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি হারুন মীনাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা এলাকা থেকে হারুন মীনাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোঃ আশরাফ হোসেন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,হত্যাকাণ্ডের পরপরই পালিয়ে যায় হারুন মীনা। এসময় তিনি কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা এলাকায় মধুমতি নদী পার হয়ে পালানোর চেষ্টা করছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে গোপালগঞ্জ সদর থানা জেল হাজতে পাঠানো হয়। হত্যাকাণ্ড ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় টুকু মিনা বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় সোমবার সকালে ( ১৯ ফেব্রুয়ারী ) হারুন মিনাকে প্রধান আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক ( তদন্ত) হারুন অর রশীদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হারুন মিনা হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। অভিযুক্তকে সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাড়ির উঠানে বিরোধীয় জমির দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলো টুকু মিনার মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী লামিয়া (১৫)। এসময় তার বড় চাচা হারুন মীনা ভাতিজি লামিয়াকে সরে গিয়ে কথা বলতে বলেন। ভাতিজি না সরায় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এনিয়ে ক্ষিপ্ত বড় চাচা হারুন মিনা তার স্ত্রী ও মেয়ে মিলে লামিয়া, তার মা বিউটি বেগম ও লামিয়ার বোন অন্তরাকে কুপিয়ে আহত করে। এতে ঘটনাস্থলেই লামিয়া ও মা বিউটি বেগম নিহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহত অন্তরাকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মোঃ আনিচুর রহমান বলেন, লাশের ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরবর্তি অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় পুলিশ পাহারা রয়েছে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION