কালের খবরঃ
দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সুবিধা ও ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জনের জন্য গোপালগঞ্জে শিক্ষার্থীদের হাতে ল্যাবটপ তুলে দিলেন জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম। এবি ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় এসব ল্যাবটপ বিতরণ করা হয়। রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারী) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ও ল্যাবটপ বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবি ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আফজাল। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মাহাবুব আলী খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ জোবায়ের আহমেদ প্রমূখ।
পরে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সুজনা ইয়াসমিন মনি ও সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের গণিত বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তামজিদ হোসেনের হাতে ১টি করে ল্যাবটপ তুলে দেন। পরে এবি ব্যাংক সভাপতি দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য আরো ১৮টি ল্যাবটব জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করেন। এসব ল্যাবটপ পরবর্তিতে দরিদ্র মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আরিফ হোসেন। এসময় গোপালগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, এবি ব্যাংকের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ল্যাবটপ হাতে পেয়ে শিক্ষার্থী সুজনা ইয়াসমিন মনি বলেন, বর্তমানে লেখাপড়ার জন্য ডিভাইস প্রয়োজন। আমার বাবা নেই। অনেক কষ্টে লেখাপড়া চালাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের পড়ালেখার জন্য বইপত্রের পাশাপাশি অনলাইনে অনেক লেখাপড়া করতে হয়। এই সুবিধাটা আমার ছিল না। আমাদের পারিবারিক আর্থিক সংকটের কথা গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কাছে জানিয়ে আবেদন করি। স্যার আমাকে লেখাপড়া ও ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য একটি ল্যাবটপ দিয়েছেন। এটার মাধ্যমে আমার জীবনটাই বদলে যাবে বলে আমি মনি করি। লেখা পড়ার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করে কিছু আয়ও করতে পারবো। যা দিয়ে আমার লেখাপড়া ও খাবার খরচ মিটবে।
অপর শিক্ষার্থী তামজিদ হোসেন বলেন, আমার বাবা একজন অসুস্থ মানুষ। আগে গাড়ী চালাতেন। অসুস্থতার কারনে এখন আয় নেই। আমি গণিত বিষয়ে অনার্স করছি। এতে ডিভাইস প্রয়োজন । লেখাপড়ার ফাঁকে ফিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন করে নিজের লেখাপড়া ও বাবার ওষুধ খরচ চালাতে পারবো। এই সুবিধা ডিসি স্যার করে দেয়ায় স্যারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply