টুঙ্গিপাড়া প্রতিনিধিঃ
মিথ্যা অভিযোগে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছেন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন টুঙ্গিপাড়ার ১১ নং দক্ষিণ বর্নি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইমাম হোসেন টুটুল।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে নয়টায় টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে এমন দাবি করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, (২৬ নভেম্বর) বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শফিকুর রহমান বলেছেন আমি দ্বায়িত্বে থাকা অবস্থায় প্রশ্নপত্র আলমারিতে সংরক্ষিত ছিল। আমার বিদ্যালয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। এছাড়া অভিযোগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী খাদিজার মা ও শিক্ষার্থী বুশরার মায়ের সাথে প্রশ্নপত্র বিক্রির বিষয়ে আমার কথা হয়েছে এমন একটি অভিযোগ উঠেছিলো। যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। তাদের সাথে আমার কোন কথাই হয়নি। কারণ খাদিজার মা দীর্ঘ ৮ থেকে ১০ বছর এলাকার বাইরে রয়েছে। আর বুশারার মা নিজের মুখেই স্থানীয় মুরব্বিদের সামনে বলেছেন তার সাথে আমার কোন কথা হয়নি।
শিক্ষক টুটুল বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস ও বিক্রয়ের কথাটি লোকমুখে জানতে পেরে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মহব্বত আলী মুন্সী বিদ্যালয়ে গেলে কেউ কোন প্রমাণ দেখাতে পারেনি। তদন্ত প্রতিবেদনে যাদের কথা বলা হয়েছে তাদের সাথে এসব বিষয়ে আমার কোন কথাই হয়নি বলে স্বীকার করেছেন।
শিক্ষক ইমাম হোসেন টুটুল আরও বলেন, আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও গনিতের শিক্ষক। এলাকার কিছু কুচক্রীমহল আমার প্রতি ঈর্ষানীত হয়ে এমন বানোয়াট ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে। তাই আমি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আমার বরখাস্তের আদেশ তুলে নেয়ার দাবি জানাই।
এসময় টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিভিন্ন প্রিন্ট ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply