কালের খবরঃ
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ -০১ আসন ( মুকসুদপুর ও কাশিয়ানী একাংশ) থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছে চারজন। ইতোমধ্যে এসব প্রার্থীরা আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়পত্র সংগ্রহ করে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন। এই আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে। প্রার্থীরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের পরাজিত করে থাকেন।
এই আসনে পাঁচবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্ণেল (অব) মুহম্মদ ফারুখ খান,আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ও অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক মঞ্জুরুল হক লাবলু,গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কাশিয়ানী উপজেলা পরিষদের বারবার নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ মতুয়া মহাসংঘের কার্যকরি সভাপতি সুব্রত ঠাকুর ও মুকসুদপুর-০১ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য প্রায়ত অ্যাডভোকেট কাজী আব্দুর রশীদের বড় ছেলে ও জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কাজী হারুন অর রশীদ মিরন আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনয়পত্র সংগ্রহ করেছেন।
মনোনয়ন প্রত্যাশী মঞ্জুরুল হক লাবলু বলেন, ছাত্রজীবন থেকে আমি ছাত্ররাজনীতি করেছি। ১৯৮২ থেকে ৮৬ সাল পর্যন্ত জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক ছিলাম। তখন থেকে এলাকার গরীব দুঃখী মানুষের পাশে থেকে সাহায্য সহযোগীতা করেছি। অতিমারি করোনার সময় খাদ্য ও স্বাস্থ্যসামগ্রী বিতরণ করেছি। উৎসবে ও শীতে শাড়ী, লুঙ্গী ও কম্বল দেয়া হয়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার দরীদ্র মানুষের হাতে খাদ্য ও বস্ত্র তুলে দেয়া হয়েছে। এসব বিষয় বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে গোপালগঞ্জ-০১ আসনে নৌকার মাঝি নির্বাচিত করেন তাহলে আমি মুকসুদপুর ও কাশিয়ানী বাসীর ভাগ্যান্নয়নে শিল্পকারখান স্থাপনের মাধ্যমে যুবসমাজের বেকরারত্ব দূর ও গ্রামীন সড়ক উন্নয়নের মাধ্যমে যাতায়াত সহজীকরনে পদক্ষেপ গ্রহন করবো।
অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী সুব্রত ঠাকুর বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি মনোনয়ন চেয়েছিলাম। এবারও মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছি। ছাত্র জীবন থেকে আওয়ামী লীগের ব্যানারে মানুষের জন্য কাজ করেছি। আমরা হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের বংশধর। মানুষসেবাই আমাদের ব্রত। তাছাড়া ঠাকুর পরিবার আওয়ামীলীগের ব্যানারে ছিল এবং আছে। আশাকরি আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আমাদের পারিবার ও আমার কর্মকান্ড মূল্যায়ন করে নৌকা প্রতিকে মনোনয়ন দিবেন। আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি যুবসমাজের কর্মসংস্থান সৃস্টির জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করবো এবং শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবো।
আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী কাজী হারুন অর রশীদ মিরন বলেন, আমার পিতা কাজী আব্দুর রশীদ মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। সেদিক বিবেচনা করে দল আমার পিতাকে গোপালগঞ্জ-০১ আসনের বারবার মনোনয়ন দিয়ে এমপি করেছিল। তখন আমি ছাত্রলীগ রাজনীতির সাথে থেকে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্মকান্ডে নিজে সম্পৃক্ত ছিলাম। এরপর অপর সংসদ সদস্য কর্ণেল ফারুক খানের সময়কালে এলাকার মানুষের সাথে থেকে কাজ করেছি। আশাকরি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার পিতার এবং আমার রাজনৈতিক কর্মকান্ড বিবেচনা করে আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিবেন। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে আমি গ্রামীন সড়ক ব্যবস্থা উন্নয়নসহ বেকারত্ব দূরকরতে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকলকারখানা স্থাপনের মাধ্যমে ভূমিকা রাখবো।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply