কালের খবরঃ
জালনোট, ছিনতাই ও বিভিন্ন প্রতারণা প্রতিরোধে গোপালগঞ্জের ৬টি কোরবানির পশুর হাট ‘ক্যাশলেস’ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসন, প্রাণীসম্পদ বিভাগ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাংক খামারিদের সঙ্গে মতবিনিময় করে হিসাব খোলার কাজ শুরু করেছে।
প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে, পাইলট প্রকল্প হিসেবে গোপালগঞ্জের ৬টি পশুর হাটে বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল লেনদেন চালু করতে জেলা প্রশাসন,প্রাণিসম্পদ বিভাগ এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাংকগুলোকে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে চিঠি দেয়।
জালনোট, ছিনতাই ও বিভিন্ন প্রতারণা প্রতিরোধে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল লেনদেনে ক্রেতা-বিক্রেতাদের খরচ গুনতে হবে না। ক্যাশলেস হাটগুলো হলো গোপালগঞ্জ শহরের মানিকদাহ হাউজিং প্রকল্প হাট,গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাইকান্দি ইউনিয়নের তালা কেকানিয়া পশুর হাট, মুকসুদপুর উপজেলার টেংরাখোলা বাজার, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী হাট,কোটালীপাড়া উপজেলার মাঝবাড়ী হাট ও কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া হাট। এসব হাটে ব্যাংক এশিয়া, এবি ব্যাংক, ডাচ্ বাংলা ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংক লিঃ ক্যাশলেস লেনদেন পরিচালনা করবে।
ব্যাংক এশিয়া গোপালগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক তরুণ কুমার সরকার বলেন, কোরবানির পশুর হাটে নগদ অর্থের চাহিদা বেড়ে যায়। টাকা নিয়ে পশু কিনতে এসে কখনো কখনো ছিনতাই ও প্রতারণার শিকার হন মানুষ। আবার বিক্রেতারাও জালনোটের খপ্পরে পড়েন। এ অবস্থায় পশুর হাটগুলোতে ডিজিটাল লেনদেন চালু করতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। সহজ ও ঝুঁকিমুক্ত পশুর হাট করতে আমরা কাজ করছি। জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তালিকা অনুযায়ী খামারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে হিসাব খোলার কাজ শুরু হয়েছে। এখন পশুরহাট বসলে ব্যাংক এশিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত হাটগুলোতে আমরা সেবা দিতে প্রস্তুত আছি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা গোবিন্দ চন্দ্র সরদার বলেন,গোপালগঞ্জে এবছর কোরবানীর জন্য ৩৫ হাজারের মতো পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব পশু লালন পালনকারী খামারীদের গরু বিক্রির টাকা যাতে নিরাপদে ঘরে আনতে পারে তার জন্য সরকার ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগ তালিকা দিয়ে এবং খামারীদের ডিজিটাল লেনদেনে উদ্বুদ্ধ করছে।
জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন,ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং জাতীয় আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কৌশল অনুসারে জনগণের সব লেনদেনের প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজড করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে। দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ‘ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেমের’ আওতায় আনার জন্য ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ কার্যক্রম হাতে নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ কার্যক্রমের আওতায় চলতি বছরের কোরবানির পশুর হাটে বেচাকেনার জন্য সারা দেশের মত গোপালগঞ্জের ৬টি হাটে লেনদেন বাংলা কুইক রেসপন্স (কিউআর) কোডসহ অন্যান্য স্মার্ট মাধ্যমে ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে কোরবানির পশুর হাটগুলোতে কেনাবেচার পাশাপাশি হাসিলের অর্থও ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিশোধ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply