কোটালীপাড়া প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ঘাঘর বাজারে ইজারাদারের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।ইজারাদার পৌরসভা কর্তৃক নির্ধারিত খাজনার চেয়ে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছে বলে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন।
আর এই অতিরিক্ত খাজনা আদায় করার কারণে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতা বিক্রেতাগণ আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।
জানাগেছে, ১৪৩০ বাংলা সালের জন্য পৌরসভার কাছ থেকে এই বাজারটি ৮৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকায় ইজারা নিয়েছেন উপজেলার মাঝবাড়ি গ্রামের মৃত আবুল কাসেম দাড়িয়ার ছেলে হায়াত আলী দাড়িয়া।
তিনি বাজারটি ইজারা নেওয়ার পর থেকে পৌরসভার নির্ধারিত খাজনা চেয়ে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছেন বলে সরেজমিনে জানাগেছে।
উপজেলার বৃহৎ এই বাজারটির কাঠ ক্রেতাদের কাছ থেকে শতকরা ১টাকা করে খাজনা আদায় করার কথা থাকলেও ইজারাদার শতকরা আড়াই টাকা করে খাজনা আদায় করছেন।
অপরদিকে সবজি বিক্রেতাদের দোকান প্রতি প্রতিদিন ৭টাকা করে খাজনা আদায়ের কথা থাকলেও শুক্রবার ও সোমবার ১২০টাকা ও অন্যান্য দিন ৫০টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। এছাড়াও ছাগল বিক্রির হাটে এক পক্ষের থেকে খাজনা আদায় করার কথা থাকলেও ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের কাছ থেকে খাজনা আদায় করা হচ্ছে।
ঘাঘর বাজারের কাঠ ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, আমরা যাদের কাছে কাঠ বিক্রি করি তাদের কাছ থেকে ইজারাদার শতকরা আড়াই টাকা করে আদায় করছেন। আর এই অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের কারণে ক্রেতা সাধারণ আমাদের এই বাজারে না এসে অন্য বাজারে চলে যাচ্ছে। এতে আমরা ব্যবসায়ীক ভাবে ক্ষতির সম্মূখিন হচ্ছি। আমরা চাই ইজারাদার নির্ধারিত সিডিউল অনুযায়ী এই বাজারে খাজনা আদায় করুক।
ছাগল ব্যবসায়ী রাসেল শেখ বলেন, এখানে ছাগলের খুচরা ক্রেতা বিক্রেতাদের কাছ থেকে শতকরা ৫টাকা করে আদায় করা হয়। এছাড়া যারা ব্যবসায়ী তাদের কাছ থেকে প্রতিটি ছাগল প্রতি ৫০টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা হাসান সিকদার বলেন, আমরা আমাদের দোকান প্রতি সাপ্তাহিক হাটের দিন শুক্র ও সেমাবারে ১২০টাকা ও অন্যান্য দিন ৫০টাকা করে খাজনা দেই। তবে সরকারি বা পৌরসভা থেকে কত টাকা করে খাজনা আদায়ের কথা তাহা আমাদের জানা নেই। বাজারের কোথাও কোন খাজনা আদায়ের তালিকার সাইনবোর্ড নেই। সাইনবোর্ড থাকলে আমাদের খাজনা দিতে সুবিধা হতো।
এ বিষয়ে ইজারাদার হায়াত আলীর দাড়িয়ার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি আনা হয়েছে তাহা সত্য না। আমি সিডিউলে নির্ধারিত খাজনার বাহিরে অতিরিক্ত কোন খাজনা আদায় করছি না।
পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান হাজরা বলেন, ঘাঘর বাজার থেকে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমার কাছে কেউ লিখিত বা মৌখিক ভাবে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে আমি খাজনা আদায়ের তালিকার সাইনবোর্ড বাজারের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টানিয়ে দিবো।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply