কাটালীপাড়া প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১২মে) উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের কালিকাবাড়ি যুব সংঘের আয়োজনে কালিকাবাড়ি গ্রামের দক্ষিণ পাশের মাঠে এ ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত প্রায় অর্ধশত প্রতিযোগি চিলাকাটা, নৌকা, সাপ, ফুলঝুড়ি, প্রজাপতি, রংধনু, পেঁচাসহ নানা ধরণের ঘুড়ি নিয়ে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।
এ প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে আকর্ষনীয় ছিল বহরাবাড়ি গ্রামের অশোক মন্ডলের চিলাকাটা ঘুড়ি। ঘুড়িটির উচ্চতা ছিল ১৮ফুট ও প্রস্থ ছিল ১২ফুট। ঘুড়িটি যখন আকাশে উড়ানো হয় তখন শত শত নারী পুরুষ করতালি দিয়ে অশোক মন্ডলকে স্বাগত জানায়।
এই ঘুড়িটি তৈরী করতে ৪দিন সময় লেগেছে বলে জানিয়েছেন অশোক মন্ডল। তিনি বলেন, আমি ছোট বেলা থেকেই ঘুড়ি তৈরী করি ও উড়াই। তবে এতবড় ঘুড়ি আগে কথনো তৈরী করিনি। এ বছর ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতার কথা শুনে এই ঘুড়িটি তৈরী করেছি। সুতা, বাঁশ ও পলিথিন দিয়ে এই ঘুড়িটি তৈরী করতে আমার ৫হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আগামীতে এ ধরনের প্রতিযোগিতা হলে আমি এর চেয়ে বড় ঘুড়ি তৈরী করবো।
এ ঘুড়ি প্রতিযোগিতায় অশোক মন্ডল প্রথম, মিথাইল জয়ধর দ্বিতীয় ও ফাহিম মোল্লা তৃতীয় স্থান অধিকার করেন।
রাধাগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সর্বনন্দ বৈদ্য প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। এ সময় কালিকাবাড়ি যুব সংঘের সভাপতি ডা. আশিষ পান্ডে, ইউপি সদস্য দুলাল চন্দ্র রায়সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ঘুড়ি উড়ানো এ প্রতিযোগিতা দেখতে আসা গোপালগঞ্জ এস এম মডেল স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র অর্ণিবান পান্ডে বলেন, আমি এই প্রতিযোগিতার কথা শুনে বাবার সাথে ঘুড়ি উড়ানো দেখতে এসেছি। আমি আগে কখনো এ ধরণের প্রতিযোগিতা দেখি নাই। এখানে এসে আমার খুব ভালো লাগছে।
কালিকাবাড়ি যুব সংঘের সভাপতি ডা. আশিষ পান্ডে বলেন, আমরা ছোট বেলায় বৈশাখ জৈষ্ঠ মাসে মাঠে মাঠে ঘুড়ি উড়াতাম। কালের বিবর্তনে এখন এই ঘুড়ি উড়ানো নেই বললেই চলে। তাই আমরা এই ঐতিহ্যবাহি ঘুড়ি উড়ানোকে আবার ফিরিয়ে আনার জন্য এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply