কালের খবরঃ
গোপালগঞ্জে এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক ছাত্রীকে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা ওই আইনজীবীর বাসায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে।শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শহরের পাঁচুড়িয়া এলাকার সামচুল হক রোডে এ ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় ওই দিন গভীর রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. মোরাদ হোসেন বাদী হয়ে অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেনের (৪৫)বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ সদর থানায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
এ ঘটনার পর থেকে ওই আইনজীবী পলাতক রয়েছেন এবং শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) তার মুঠোফোনে (০১৭৮০১১৬৭৫৮) বারবার কল করলে তিনি ফোনটি রিসিভ না করে কেটে দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, ওই ছাত্রীর সাথে ৩/৪ মাস পূর্বে পাঁচুড়িয়া এলাকায় বাচ্চাদের প্রাইভেট পড়ানোর কথা বলেন অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন। এভাবে ছাত্রীর সাথে পরিচয় হয় এবং মোবাইল ফোনে কথা আদান প্রদান হয়।
শুক্রবার বিকেলে ৪ টার দিকে আলমগীর হোসেন মোবাইল ফোনে ওই ছাত্রীকে বাচ্চাদের পড়ানোর কথা বলে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সামনে আসতে বলেন। ওই ছাত্রী হাসপাতালের সামনে এসে আলমগীরকে ফোন দিলে তিনি বাসায় যেতে বলেন। তখন ওই ছাত্রী তার বাসায় যান। এসময় আলমগীর হোসেনের পরিবারের অন্য কোন সদস্য বাসায় ছিলো না। তখন সে আলাপ আলোচনার এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করে এবং শরীরের বস্ত্র ছিড়ে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। তখন ওই ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে ছাত্রীকে উদ্ধার করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্টার ও মামলার বাদী মো. মোরাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, বিষয়টি ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার বরাবর লিখিতভাবে বিষয়টি জানায়। তখন রেজিস্টার প্রোক্টরিয়াল বডির সকল সদস্য ও ওই ছাত্রীর পরিবারের সাথে কথা বলে অভিযুক্ত আইনজীবীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
অভিযুক্ত আইনজীবী আলমগীর হোসেন গত শুক্রবার রাতে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে গোপালগঞ্জে কর্মরত সাংবাদিকদের বলেন, আমাকে ব্লাকমেইল করতে ওই ছাত্রী এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা আমার বাসায় হামলা করে ভাংচুর চালিয়েছে।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনার বিচার চেয়ে আমার স্ত্রীকে দিয়ে ওই ছাত্রী ও ভাংচুরের সাথে জড়িতদের নামে মামলার প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। তবে শুক্রবারের পর থেকে তিনি সাংবাদিকদের ফোন তুলছেন না ।
এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাসুদ জানিয়েছেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামী পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, আলমগীর হোসেন গোপালগঞ্জ জেলা জজ কোর্টের একজন আইনজীবী। এছাড়া তিনি গোপালগঞ্জ শহরতলীর ঘোনাপাড়ার একটি রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড পার্টি সেন্টারের পরিচালক বলে জানাগেছে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply