শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৮:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কমিটি ঘোষণার ২৪ ঘন্টার মধ্যে এনসিপি গোপালগঞ্জ কমিটি থেকে নাম প্রত্যাহারের অনুরোধ মুরাদনগরে গণধর্ষণ, খিলক্ষেতে মন্দির ভাংচুরের প্রতিবাদে গোপালগঞ্জে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ গোপালগঞ্জে বাসের ধাক্কায় ট্রাক চালক ও হেলপার নিহত। গোপালগঞ্জে বাসের ধাক্কায় ট্রাক হেলপার নিহত।চালক আহত কাশিয়ানীতে দেশিয় অস্ত্রসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ সদস্য গ্রেপ্তার মুকসুদপুরে ইয়াবাসহ এক নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার কোটালীপাড়ায় ৪০০ ক্ষুদে শিক্ষার্থী পেল স্কুল ব্যাগ ও টিফিন বক্স প্রেমের টানে সুদুর চীন থেকে গোপালগঞ্জে ছুটে এসেছেন এক চীনা যুবক, বিয়ের মাধ্যমে সম্পন্ন হলো সফল প্রেমের গোপালগঞ্জে চায়নাদুয়ারী ও কারেন্টজাল বিক্রির অপরাধে দুই ব্যবসায়ীকে কারাদন্ড ও ৪ব্যবসায়ীকে ১লক্ষ ৫হাজার টাকা অর্থদন্ড ভারতের অন্যায় আবদারের কাছে আমরা মাথানত করবো না – ড. আসাদুজ্জামান রিপন

চান্দার বিলে মাছ শিকারে গিয়ে ইঁদুরমারা বৈদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে মৎস্যজীবীর মৃত্যু

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ৬.১৩ পিএম
  • ২৪৫ Time View

মুকসুদপুর প্রতিনিধিঃ

মাছ শিকার  করতে চান্দার বিলে গিয়েছিলেন মৎস্য শিকারী নির্ভসা বৈরাগী। মাছ শিকার করে চলে তার সংসার। রাতে মাছ শিকারে গিয়ে প্রতি সকালে বাড়ি ফেরেন এটাই নিয়মে পরিনত হয়েছিল তার।  কিন্তু (২৫ জানুয়ারি ) মাছ শিকারে গিয়ে পরের দিন আর বাড়ি ফেরা হয়নি শিকারী নির্ভসা বৈরাগী। বিলের মধ্যে বৈদ্যুতিক ইঁদুরমারা ফাঁদে জড়িয়ে জীব হারালেন তিনি। জমির মালিক অরুন দাস তার দোষ চাপা দিতে লাশটি গুমকরে  পাশের একটি পুকুরে কচুরিপানার নিচে চাপা দিয়ে এলাকা ছাড়লেন।

পরে নিখোঁজের ৬ দিন পর গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার চান্দার বিলের কচুরিপানার মধ্য থেকে মৎস্যজীবী নির্ভসা বৈরাগীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ । এ ঘটনায় লাশ গুমের অভিযোগে পুলিশ অরুন দাসকে গ্রেপ্তার করে।

মুকসুদপুর থানার ওসি মোঃ আবু বকর জানিয়েছেন,নির্ভসা বৈরাগী গত ২৫ জানুয়ারী রাতে মুকসুদপুরের চান্দার বিলে মাছ ধরতে গিয়ে ইঁদুর মারার ফাঁদে জড়িয়ে মৃত্যু হয়। পাশ্ববর্তি কৃষ্ণনগরের ঠান্ডা দাসের ছেলে অরুন দাস চান্দার বিলের মধ্যে রোপন করা ইরি ধানের ক্ষেতে ইঁদুরের আক্রমণ থেকে রেহাই পেতে জেনারেটরের সংযোগ দিয়ে বৈদ্যুতিক লাইনের ফাঁদ স্থাপন করেছিল। সেই তারে জড়িয়ে নির্ভসা বৈরাগী মারা যায়। ভয়ে অরুন দাস ওই বিলের মধ্যে একটি পুকুরে নির্ভসা বৈরাগীর লাশ কচুরীপানার মধ্যে লুকিয়ে রাখে এবং সে বাড়ি থেকে পালিয়ে খুলনা গিয়ে অবস্থান নেয়। অভিযান চালিয়ে পুলিশ অরুন দাসকে মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে খুলনা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার তথ্য মতে বুধবার ( ১ র্ফেরুয়ারী) ভোর রাতে মুকসুদপুর সার্কেলের এএসপি মোঃ কামরুজ্জামান-এর নেতৃত্বে  চান্দার বিলের দুর্জধনের  জোড়া পুকুর থেকে অরুন দাসকে সাথে নিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

মামলা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, কলিগ্রামের যতীনময় বৈরাগীর ছেলে মৎস্যজীবী নির্ভসা বৈরাগী (৬০) গত ২৫ জানুয়ারী সন্ধ্যায় নিজ বাড়ি থেকে বড়শী দিয়ে মাছ ধরার জন্য চান্দার বিলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সে বাড়িতে ফেরৎ না আসায় ২৬ জানুয়ারী তার পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজ খবর নিতে থাকে। কোন খোঁজখবর নেয়ার এক পর্যায়ে পরিবারের লোকজন জানতে পারে কৃষ্ণনগরের ঠান্ডা দাসের ছেলে অরুন দাসের চান্দার বিলে রোপন করা ইরি ধানের ক্ষেতে ইঁদুর মারার জন্য জেনারেটরের সংযোগ দিয়ে বৈদ্যুতিক লাইন স্থাপন করেছিল। সেখানে মাছ ধরতে গেলে তারে জড়িয়ে নিখোঁজ নির্ভসা বৈরাগী মৃত্যুবরন করে।   বিষয়টি মুকসুদপুর থানা পুলিশ অবগত হলে নিখোঁজ নির্ভসা বেরাগীকে উদ্ধারের জন্য মাঠে নামে। এক পর্যায়ে খুলনা থেকে হক মঙ্গলবার (৩১জানুয়ারি) বিকেলে অরুন দাসকে আটক করে। আটক করার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। পরবর্তীতে আটককৃত অরুন দাস কে সাথে নিয়ে চান্দার বিলের দুর্জধনের জোড়া পুকুর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস,পি (ক্রাইম) মোহাইমিন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নির্ভসা বৈরাগীর ছেলে পিংকু বৈরাগী বাদী হয়ে তার বাবার মৃত্যুর ঘটনায় অরুন দাস ও মিনি বৈরাগী   বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর মূল হোতা অরুন দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক আসামী মিনি বৈরাগীকে আটকের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Advertise

Ads

Address

Office : Sheikh Fazlul Haque Moni Stadium (2nd floor), Gopalganj-8100 Mobile: 01712235167, Email: kalerkhabor24.com@gmail.com
© All rights reserved 2022

Design & Developed By: JM IT SOLUTION