মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুর শহরে প্রকাশ্যে দুই ড্রেজার ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় অভিযুক্ত আসামিদের পুলিশ গ্রেপ্তার না করার অভিযোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৩ মে) দুপুর ১২ টায় শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়। ঘন্টাব্যাপী চলা মানববন্ধনে ব্যানার-ফ্যাস্টুন হাতে লঞ্চঘাট এলাকায় অংশ নেয় কয়েকশ মানুষ।
মানববন্ধনকারীরা জানিয়েছেন,গত ১৬ মে বিকেলে লঞ্চঘাট এলাকার ড্রেজার ব্যবসায়ী অহিদ হাওলাদার ও কামাল হাওলাদারকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। জখমের ঘটনায় ২১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ঘটনার একদিন পরে ড্রেজার ব্যবসায়ী অহিদের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় পৌর ছাত্রলীগের একাংশের সভাপতি নোবেল ব্যাপারীকে প্রধান আসামি করে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। মামলার পর থেকে অভিযুক্ত সবাই পলাতক।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রকাশ্যে দুই ড্রেজার ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায় নোবেল ও তার লোকজন। এ ঘটনায় এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও পুলিশ একজন আসামিকেও গ্রেপ্তার করেনি। ফলে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। হামলাকারীরা মামলা তুলে নিতেও নানা ভাবে বাদীকে চাপ দিচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় না আনা হলে আগামীতে আরও কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।
মামলার বাদী ফাতেমা আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামীর ওপর প্রকাশ্যে হামলা চালানো হল। আমি বিচার চেয়ে থানায় মামলাও করলাম। অথচ পুলিশ আসামি ধরার বিষয় গুরুত্ব দিচ্ছে না। পুলিশ রাতের বেলায় এলাকায় আসামি ধরার চেষ্টা করে কিন্তু আসামিরা কেউ এলাকায় নেই। তারা এলাকার বাহিরে অবস্থান করে আমাদের উল্টো হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। আসামিরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ঘোরাফেরা করে। তাদের গ্রেপ্তার না করায় আমরাও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। আমরা সরকারের কাছে আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানাই।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. বদিউজ্জামান বলেন, ‘আসামিদের গ্রেপ্তারে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। ঘটনার পর থেকে আসামিরা এলাকায় নেই। আমরা প্রতিদিন রাতে বিভিন্ন ঘরে তল্লাসি চালাই। কিন্ত আসামিদের পাওয়া যাচ্ছে না। আশা করছি, অভিযুক্ত আসামিদের দ্রুতই আইনের আওতায় আনা হবে।’
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply