কালের খবরঃ
গোপালগঞ্জে পৃথক দুইটি সড়ক দুর্ঘটনায় চালক ও হেলপারসহ ৩জন নিহত ও ১১জন আহত হয়েছে। গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ডুমদিয়ায় রাস্তায় দাড়িয়ে থাকা স্কেবেটরের সাথে ঢাকাগামী দিগন্ত পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে ২জন নিহত ও ১০জন আহত হয়। এছাড়া বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে কাশিয়ানী উপজেলার পোনায় ট্রাক হেলপার নিহত হয়।
নিহতরা হলেন, দিগন্ত পরিবহনের চালক ও খুলনার বাসিন্দা মোঃ বাচ্চু মোল্লা(৫০) ও বাসযাত্রী বাগেরহাটের চিতলমারি উপজেলার বড়গুনি গ্রামের মৃত ওবায়দুল ইসলামের ছেলে রাশেদুল ইসলাম (৪০) এবং খুলনার তেরখাদা উপজেলার পাটগাতী গ্রামের আবুল হোসেন শেখের ছেলে সেকেন্দার আলি শেখ (১৮)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ডুমদিয়া নামক স্থানে মহাসড়ক থেকে লিংক রোডে যাওয়ার জন্য স্কেবেটরটি সড়কের উপর রেখে চালক ও সহকারী রাস্তা দেখতে নামেন। এসময় বাগেরহাটের কাটাখালি থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী দিগন্ত পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঘটনাস্থলে রাস্তার উপর দাড়িয়ে থাকা স্কেবেটরের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগায়। এতে বাসটির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায় ও ঘটনাস্থলে বাসের চালকসহ ২জন নিহত হয় এবং অপর ১০ জন যাত্রী আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এসময় দুর্ঘটনার পর প্রায় দেড় ঘন্টা ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে সড়কের দুই পাশে প্রায় ৪ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে রাত ১২টার দিকে দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি রাস্তার পাশে সরিয়ে নেয়ায় পুনরায় যান চলাচল শুরু হয়।
অপরদিকে, ঢাকা যাওয়ার পথে একই সড়কের কাশিয়ানী উপজেলার পোনা এলাকায় ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে ট্রাকের একটি চাকা পাংচার হয়। ট্রাকের চালক ও হেলপার তাদের গাড়ীর চাকা রাস্তায় উপর রেখে ঠিক করার সময় অজ্ঞাত একটি গাড়ি তাদেরকে চাপা দেয়। এতে হেলপার সেকেন্দার আলী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এসময় মারাত্মক আহত ড্রাইভার সুমন শেখকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে থানার পরিদর্শক আবু নাঈম মোঃ তোফাজ্জেল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আহতদের মধ্যে ৭ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের লাশ আইনী প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply