
কালের খবরঃ
গোপালগঞ্জে নিয়মিত চেকপোস্ট চলাকালে ১০ লাখ টাকা ও শরীয়তপুর সড়ক বিভাগের পিওনসহ ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে তাদের আটক করা হয়। মামলা দায়েরের পর আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হবে। রাত ১১টার দিকে গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশের মিডিয়া গ্রুপে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল ( মোঃ শাখাওয়াত হোসেন সেন্টু) গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ ঘটনায় গোপালগঞ্জ সড়ক সার্কেলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও জোনের তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলীকে শরীয়তপুর সড়ক বিভাগের একটি কাজের দরপত্রের অনুমোদনের জন্য পিওন এ টাকা এনেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আটককৃতরা হলেন, শরীয়তপুর সড়ক বিভাগের পিওন এবং মাদারীপুর জেলার সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের চর খসরু গ্রামের মৃত কালু মোল্যার ছেলে মোশারফ হোসেন (৬০) ও প্রাইভেট কার চালক শরীয়তপুর জেলার পালং থানার দক্ষিণ মধ্যপাড়া এলাকার মৃত সোহরাব ব্যাপারীর ছেলে মোঃ মনির হোসেন (৪০)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোপালগঞ্জ শহরের পুলিশ লাইন্স মোড়ে নিয়মিত চেকপোস্ট চলাকালে বিকেল ৪টার দিকে একটি প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো গ-০৭-৬৮৪১) থামিয়ে তল্লাশি করা হয়। প্রাইভেট কারের ভেতরে থাকা একটি ব্যাগের মধ্যে ও ২টি খামে মোট ১০ লাখ টাকা পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে প্রাইভেট কারের আরোহী মোশারফ হোসেন অসংলগ্ন কথাবার্তা বলায় পুলিশের সন্দেহ হয়। এক পর্যায়ে তিনি এ টাকা গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগের সাব-এ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সাজ্জাদ হোসেনকে (সরকারি কর্মকর্তা) দেওয়ার জন্য নিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান। চেকপোস্টে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের এতে সন্দেহ হলে উল্লেখিত প্রাইভেট কার ও টাকা তারা জব্দ করেন। এ সময় পিওন ও ড্রাইভারকে আটক করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ সদর থানায় বুধবার রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সড়ক বিভাগের দায়িত্বশীল একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, শরীয়তপুর সড়ক বিভাগের একটি কাজের দরপত্রের অনুমোদনের জন্য ওই টাকা গোপালগঞ্জ সড়ক সার্কেলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও জোনের তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলীকে দেওয়ার জন্য আনা হয়েছিল। এখন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সাদেকুল ইসলাম ও তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী জিকরুল ইসলাম কৌশলে এ ঘটনার দায় নিরপরাধী সাব-এ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সাজ্জাদ হোসেনের উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন। এতে সড়ক বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে গোপালগঞ্জ সড়ক সার্কেলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সাদেকুল ইসলামকে একাধিক বার (০১৭৩০৭৮২৮০১) ফোন দেওয়া হয়। তিনি ফোন ধরেননি। এ কারণে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আজ বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION