কালের খবরঃ
গোপালগঞ্জে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৪৩ জন শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেয়ার লক্ষ্যে “টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫” অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কর্মসূচী বাস্তবায়ন উপলক্ষে গোপালগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয় একটি কনসালটেশন কর্মশালা আজ বুধবার (০৮ অক্টোবর) বেলা ১১টায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডাঃ আবু সাইদ মোঃ ফারুক, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার খোঃ রুহুল আমীন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোছাঃ জ্যোৎস্না খাতুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউল হক, জেলা তথ্য অফিসার মোঃ সুলাইমান, এবং মেডিকেল অফিসার ডাঃ দিবাকর বিশ্বাস। কর্মশালায় গোপালগঞ্জের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকগণও উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, টাইফয়েড একটি জীবাণুবাহিত রোগ, যা পানি ও খাবারের মাধ্যমে মানবদেহে সংক্রমণ ছড়ায়। আগামী ১২ অক্টোবর থেকে সারাদেশের মতো গোপালগঞ্জেও ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের ১ডোজ টাইফয়েড টিকা দেয়া হবে। চলবে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এ জন্য আগেই সকল শিশুকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বা ব্যক্তি উদ্যোগে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সকল শিশু যাতে এই টিকার আওতায় আসে এবং স্বউদ্যোগে রেজিস্ট্রেশন করে নেয়, সেজন্য ব্যাপক প্রচারের প্রয়োজন বলে বক্তারা মন্তব্য করেন।
সিভিল সার্জন ডাঃ আবু সাইদ মোঃ ফারুক জানান, টাইফয়েড টিকা অত্যন্ত নিরাপদ। এই টিকা নেয়ার পর টিকাদানের স্থানে সামান্য লালচে ভাব, ব্যথা, মৃদু জ্বর, ক্লান্তি অনুভূত হতে পারে, যা কিছুদিন পর স্বাভাবিকভাবে ভালো হয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, এই টিকার কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, “টাইফয়েড টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা সুপারিশকৃত, নিরাপদ এবং কার্যকর। বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে এটি বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। সমাজের সকল শ্রেণি–পেশার মানুষের সন্তানরা যাতে এই টিকা সহজে গ্রহণ করতে পারে, সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে কার্যকরীভাবে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আরও বলেন, গোপালগঞ্জের লক্ষিত সংখ্যক শিশু যাতে এই টিকা পেতে পারে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION