কালরে খবরঃ
গোপালগঞ্জে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির প্রতিবাদে এবং বিয়ের দাবীতে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক বিধবা নারী।শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সকালে ভুক্তভোগী নাজমা বেগম (৪৭) বনগ্রাম পশ্চিমপাড়া নিজ বাড়ীতে সদর উপজেলার ১৪ নং করপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস, এম, হাবিবুর রহমানের (সোনা মিয়া) বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে ভূক্তভোগী নাজমা বেগম বলেন, ৬ মাস আগে এস এম হাবিবুর রহমান (সোনা মিয়া) আমার বাড়ীতে এসে বলেন, কৈশোর কাল হতে আমি তোমাকে ভালবাসি, এখনও ভালবাসি আর যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন তোমাকে ভালবেসে যাবো। এমন কথা বলে চেয়ারম্যান আমার প্রতি বিশ্বাস তৈরী করেন। পরে আমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়ে বলেন, তোমার লোকজন নিয়ে আমার নির্বাচন করো এবং নির্বাচনের পর তোমাকে বিয়ে করবো।ওই নারী আরো বলেন, চেয়ারম্যান নির্বাচন কালিন সময় সুকৌশলে আমার কাছ থেকে নগদ দশ লক্ষ টাকা নেয় এবং বিয়ে করার মিথ্যা প্রলোভন দেয়। নির্বাচনের পর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে নিয়ে আমার সঙ্গে শারীরিক মেলামেশা করেন। সর্বশেষ গত ৩১ মে মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১১ টা ৩০ মিনিটে করপাড়া গ্রামের রুহুল আমিনের পরিত্যক্ত ফাঁকা বাড়ীর পুকুরের ঘটলায় নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর থেকে তাকে বিয়ে করার কথা বললে তিনি আমাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। চেয়ারম্যান আমার মান সম্মান নষ্ট করেছে । এখন আমার এলাকায় মুখ দেখানো দায় হয়ে পড়েছে। তাই আমি বিয়ে করার দাবী করছি। তা না হলে আত্মহত্যা ছাড়া আমার উপায় থাকবেনা।
এব্যাপারে করপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমানের (সোনা মিয়া) সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় করতে এবং চেয়ারম্যান শিপ যাতে চলে যায় সেজন্য নির্বাচনে পরাজিতরা আমার বিরুদ্ধে এই নারীকে দিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি আরো বলেন, ওই নারী সাথে আমার কোন দিনই আর্থিক ও শারীরিক সম্পর্ক ছিলো না। তবে নির্বাচনে নাজমা বেগম আমার জন্য ভোট চেয়েছে। নির্বাচনী প্রচার প্রচারনায় আমার পক্ষে কাজ করেছেন এটা সত্য।
প্রসঙ্গত ভূক্তভোগী নারী গত ১৪ আগষ্ট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ৯ (১)ধারায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, গোপালগঞ্জে ১৪ নং করপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমানের (সোনা মিয়া) বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply