কালের খবরঃ
সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগানকে মধ্যরাতে তুলে নিয়ে নির্যাতন ও সাজা দেওয়ার মামলায় কুড়িগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুলতানা পারভীনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোছাম্মৎ ইসমত আরা বেগম তার জামিন আবেদন নামঞ্জুরর করে এ আদেশ দেন।
এর মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এটাই প্রথম কোনো জেলা প্রশাসককে জেল হাজতে পাঠানোর নজির তৈরি হলো।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সুলতানা পারভীন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আদালতে হাজির হলে প্রথমে কাঠগড়ায় না উঠে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন। সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের আইনজীবী বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন। পরে তাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়। প্রায় দুই দফা শুনানি শেষে আদালত বিকেলে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদেশের কিছু পরেই প্রিজন ভ্যানে করে তাকে কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ।
এর আগে গত ৩ আগস্ট হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেছিলেন সুলতানা পারভীন। তবে হাইকোর্ট তাকে জামিন না দিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে কুড়িগ্রাম জেলা জজ আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। ২১ আগস্ট তিনি জামিন আবেদন করলেও সশরীরে আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় বাদীপক্ষ আপত্তি তোলে। অবশেষে আজ আত্মসমর্পণের পর জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়।
২০২০ সালের ১৩ মার্চ মধ্যরাতে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে তার বাড়ি থেকে তুলে এনে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয় এবং মাদক মামলায় সাজা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় দেশব্যাপী প্রতিবাদের মুখে পরদিন তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। পরে আরিফুল নিজেই মামলা করেন সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। পাঁচ বছর তদন্ত শেষে পিবিআই তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
মামলার বাদী সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম বলেন, “আজকের এই আদেশ প্রমাণ করেছে, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। এটি সাংবাদিক সমাজ ও দেশের সকল নাগরিকের জন্য স্বস্তির খবর। বাদীপক্ষের আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু বলেন, এটি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।সূত্র কালের কন্ঠ
Design & Developed By: JM IT SOLUTION