গোবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠান ‘নবনীতক-৯’-এর সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় পারফরম্যান্স করা নিয়ে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে প্রক্টর ও হল প্রভোস্টসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে শেখ রাসেল হল, বিজয় দিবস হল ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের আসবাবপত্র ও জানালার গ্লাস। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় দিবস হলে দুই বিভাগের মধ্যে কথা-কাটাকাটি থেকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানাগেছে, রাত ১টার দিকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে র্যা্গডে’র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফরম্যান্স করা নিয়ে বাকবিতণ্ডার সৃস্টি হয়। এর এক পয্যায়ে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীরা লাঠিসোটা, স্টাম্প, ব্যাট, হকিস্টিক, দেশীয় অস্ত্র ও জিআই পাইপ নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শফিকের নেতৃত্বে শেখ রাসেল হলে হামলা চালিয়ে বিভিন্ন কক্ষের জানালার কাঁচ ভাঙচুর করা হয়। অন্য পক্ষ পাল্টা হামলা চালিয়ে এএসভিএম বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শফিকের কক্ষের আসবাবপত্র বাইরে ফেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়াও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে।
দফায় দফায় ধরে চলা এ সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আরিফুজ্জামান রাজীব, বিজয় দিবস হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক ড.রবিউল ইসলামসহ অন্তত ১৫জন আহত হয়। মারাত্মক আহত ৭জনকে গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন, শেখ রাসেল হলে বেশ ক্ষতি হয়েছে। জানালার গ্লাস ভাংচুর, শিক্ষার্থীদের পোষাক অন্য শিক্ষার্থীরা আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। কোরা এর সাথে জড়িত তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আরিফুজ্জামান রাজীব সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় হল প্রশাসনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যারা এধরনের কাজের সাথে জড়িত আছে তাদেরকে প্রশাসন সর্বোচ্চ শাস্তি যেটা আছে সেটা নিশ্চিত করবে। আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আজ মিটিং করে তিন কর্মদিবসের মধ্যে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। এটা ভাইস চ্যান্সেলরের ম্যাসেজ। এ ঘটনায় ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের নির্ধারিত শিক্ষা সমাপনী কনসার্টটি বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION