বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ০৪:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কোটালীপাড়ায় উচ্ছেদ হলো অবৈধভাবে গড়ে উঠা শতাধিক স্থাপনা গোপালগঞ্জের সহিংসতায় নতুন আরেক মামলা। মোট মামলা ১৩, আসামী ১৫,৬৩০ জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তিতে গোবিপ্রবিতে বিনামূল্যে হেল্থ ক্যাম্প মুকসুদপুরে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে । চালক নিহত । আহত ১৪ গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ওয়েবসাইটের পরীক্ষামূলক যাত্রা কোটালীপাড়ায় যুব মহিলা লীগ নেত্রী গ্রেপ্তার গোবিপ্রবির ১০৯১ মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীকে দেয়া হলো বৃত্তি গোপালগঞ্জে চুরির অভিযোগে কারারক্ষী গ্রেপ্তার! কারাগারে প্রেরণ কোটালীপাড়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু গোপালগঞ্জে সহিংসতায় মোট ১২ মামলা। নতুন করে আরেকটি হত্যা মামলা

মানসিক ভারসাম্যহীন শিকলবন্দী বিমল হালদারকে ঘর দিলেন ইউএনও

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ৫.৪২ পিএম
  • ১৩৮ Time View

কালের খবরঃ

২৫ বছর ধরে খোলা আকাশের নিচে গাছের সাথে শিকলবন্দী অবস্থায় জীবন কাটাচ্ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন বিমল হালদার (৫৫)নামে এক ব্যক্তি।

সম্প্র্রতি এ বিষয় নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে বিমল হালদারের পাশে এসে দাড়ালেন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মঈনুল হক।

আজ বৃহস্পতিবার (৮মে) সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মঈনুল হক পূর্বপাড়া গ্রামে বিমল হালদারের বাড়িতে যান। এসময় বিমল হালদারের বড় ভাই জগদিশ হালদারের হাতে চাল, ডালসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী, পোষাক ও নগদ অর্থ তুলে দেন।

এ সময় উপজেলা প্রকৌশলী শফিউল আজম, সমাজসেবা অফিসার রাকিবুল হাসান শুভ, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার আনসার আলী উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মঈনুল হক বলেন, দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে খোলা আকাশের নিচে শিকলবন্দি অবস্থায় রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন এই ব্যক্তি। এ বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি আমার নজরে আসে। আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিমল হালদারকে থাকার জন্য বাথরুমসহ একটি পাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি । আজকেই এই ঘরের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এছাড়াও বিমল হালদারের জন্য একটি প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং তার ভাইয়ের পরিবারের জন্য ভিজিটি কার্ড করে দেওয়া হবে। শুধু বিমল হালদারই নয় এ ধরনের মানসিক ভারসাম্যহীন সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের পাশে উপজেলা প্রশাসন সার্বক্ষনিক ভাবে পাশে থাকবে।

বিমল হালদারের ভাই জগদীশ হালদার বলেন, বিমল খুব মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। এইচ এসসি পরীক্ষার সময় কিছুটা মানসিক ভারসাম্য হারায়। ওই সময় পাবনাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে এবং ভারতে বিমলের চিকিৎসা করানো হয়। এরপর আত্মীয়-স্বজনের পরামর্শে বিয়ে দেওয়া হয় বিমলকে। স্ত্রী ও এলাকাবাসীর সাথে অস্বাভাবিক আচরণ করায় দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ২৫ বছর আগে বিমলের স্ত্রী বিমলকে ছেড়ে চলে যায়। এরপর থেকে সে পুরোপুরি মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। বিমলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে আমরা পুরোপুরি নিঃস্ব হয়ে পড়েছি।

তিনি আরো বলেন, প্রথমে ওকে টিনের ঘরে রাখা হয়। তখন ঘর-দোড় ভেঙ্গে ফেলে। অর্থের অভাবে আমরা পাকা ঘর করে দিতে পারিনি। আজ ইউএনও স্যার পাগল বিমলের জন্য যা করলেন তার জন্য আমরা চিরঋণী।

সামাজিক সংগঠন কোটালীপাড়া কল্যাণ সংঘের প্রতিষ্ঠাতা মনিরুজ্জামান শেখ জুয়েল বলেন, একজন মানসিক ভারসাম্যহীন বিমল হালদারের নিরাপত্তার জন্য ইউএনও মোঃ মঈনুল হক যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা সমাজে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Advertise

Ads

Address

Office : Sheikh Fazlul Haque Moni Stadium (2nd floor), Gopalganj-8100 Mobile: 01712235167, Email: kalerkhabor24.com@gmail.com
© All rights reserved 2022

Design & Developed By: JM IT SOLUTION