
কোটালীপাড়া প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১০টি দোকান ভস্মীভূত হয়েছে।অগ্নিকান্ডে প্রায় ৩০লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। গতকাল (২৪ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার কুশলা বাজারে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী শহীদ ফকির বলেন, গতরাতে আমি দোকানে ঘুমিয়ে ছিলাম। আনুমানিক রাত ৩ টার দিকে বিকট শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায়। দেখি দোকানে আগুন লেগেছে। আমি দোকানের ঝাপ খুলে বাইরে এসে দেখি আমার দোকানসহ পাশের দোকানগুলো আগুন জ্বলছে। এরপর ফায়ার সার্ভিসে খবর দেই। ফায়ার সার্ভিস এসে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আগুন নিভায়। ততক্ষনে ইমরুল মোল্লা, ওমর আলী মৃধার ও শরিফুল ফকিরের মুদি দোকান, সাইদুল শেখ, শহীদ ফকির ও আমিন চৌধুরীর চায়ের দোকান, কামরুল চৌধুরীরর ওষুধের দোকান, কপিল বিশ্বাসের মোবাইল ও ইলেকট্রনিক্স দোকান, গোপাল শীলের সেলুন এবং রিয়াজ চৌধুরীর মৎস্য অফিস ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
কোটালীপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সিরাজুল ইসলাম বলেন, আগুনের খবর পেয়ে দ্রুত আমরা কুশলা বাজারে ছুটে যাই। ১৫ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনি। এ সময়ের মধ্যে ১০ টি দোকান পুড়ে যায়। দোকান ঘরগুলো কাঠ ও টিনের হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কোন কারণ জানাতে পারিনি।
শরিফুল ফকির বলেন, কয়েকটি এনজিও থেকে লোন নিয়ে দোকান করি। আগুনে দোকান ঘরটি পুড়ে যাওয়ায় নিঃস্ব হয়ে গেছি। কিভাবে ঋণের টাকা পরিশোধ করবো ? কি ভাবে সংসার চলবে ভেবে পাচ্ছি না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মঈনুল হক বলেন, আমি বর্তমানে ঢাকায় আছি। বিষয়টি আমি জেনেছি। সোমবার কোটালীপাড়া এসে দুর্ঘটনাস্থলে যাবো। সরকারিভাবে যতটুকু সম্ভব ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করা হবে।
এ দিকে আজ শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকালে গোপালগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক রেজাউল করীম ঘটনস্থল পরিদর্শন করেছেন।তিনি বলেন, বিষয়টি খুবই মর্মস্পর্শী।জেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের যথাসম্ভব সহযোগিতা করা হবে।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION